আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আগ পর্যন্ত প্রচারণা ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজনের অনুমতি না দিতে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন ও গণবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘৭ জানুয়ারি একটি তথাকথিত নির্বাচনের নামে ভাগ-বাটোয়ারার মাধ্যমে ডামি নির্বাচন আয়োজনের যে অপপ্রয়াস, সেটিকে পৃষ্ঠপোষকতা করতেই অথর্ব ও অযোগ্য নির্বাচন কমিশন জনবিদ্বেষী সিদ্ধান্তটি নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর কেন সর্বজনীন অনাস্থা ও বিশ্বাসহীনতা বিরাজমান এবং সর্বাঙ্গীনভাবে পক্ষপাতদুষ্ট এই কমিশনের অধীনে কেন কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা ফেয়ার ইলেকশন সম্ভব নয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ইতোপূর্বে নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধন ও ভুয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশনা প্রতিপালন করেছে মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন।’
বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধের নব্য অপতৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করছি ও নিন্দা জানাচ্ছি, বলেন তিনি।
রিজভী আশঙ্কা প্রকাশ করেন, গণতান্ত্রিক মত প্রকাশের অধিকারকে রুদ্ধ করার এই অশুভ উদ্যোগ বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনীতিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করে তুলবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে বিএনপির চলমান শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন একটি সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। সভা-সমাবেশ ব্যাহত করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও দাবি আদায়ের সংগ্রামের বিরুদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছে নির্বাচন কমিশন, আমরা আশা করছি দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে তারা এটি প্রত্যাহার করবেন।’
রিজভী আরও বলেন, ‘ভোটে অংশগ্রহণ করা বা না করা; দুটি সিদ্ধান্তই দেশের প্রতিটি ভোটার ও রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার।’
বিএনপি কখনোই নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিপক্ষে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে বিএনপির বিপুল বিজয় অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী।’
খুলনা গেজেট/ টিএ