বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আসন্ন নির্বাচনে সব পদেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা ভালোই হবে। সভাপতি পদে বাদল রায় এবং সদস্য পদে উত্তর বারিধারা ক্লাবের জাকির হোসেন বাবুল এবং আজমপুর ফুটবল ক্লাবের সাইদুর রহমান মানিক তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। তাই এখন নির্বাচনে প্রর্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬জন।
সভাপতি পদে দুইজন, সিনিয়র সহসভাপতি পদে দুইজন, চারটি সহসভাপতি পদের জন্য আটজন এবং ১৫টি সদস্য পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৩৪জন। রবিবার চুড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। আসন্ন এই নির্বাচন একপেশে হবে বলে ধারনা করা হলেও এখন পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। আগামী ৩ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচনে ২১ পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৬জন।
সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিন এবং সাবেক ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক লড়বেন। মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের শেষদিনে হঠাৎই চমক নিয়ে হাজির হন মানিক। সভাপতির মতো সিনিয়র সহ-সভাপতি পদেও মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের শেষ দিন পর্যন্ত কোন নাম শোনা যাচ্ছিলো না। এই পদে সালাম মুর্শেদীকে চ্যালেঞ্জ জানান সাবেক জাতীয় ফুটবলার শেখ মো: আসলাম। দুইজনই খুলনার এক সময়ের তারকা ফুটবলার। এই পদে লড়াই সবথেকে বেশী জমে উঠতে পারে বলে ফুটবল বিশ্লেষকদের ধারনা।
সহসভাপতি পদে আগের কমিটি থেকে সালাউদ্দিনের প্যানেলে শুধুমাত্র কাজী নাবিল আহমেদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই পদে আরো প্রার্থী হয়েছেন আমিরুল ইসলাম বাবু, বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান ও তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক।
বর্তমান সহসভাপতি তাবিথ আউয়াল আগের মতোই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একই পদে নির্বাচন করছেন।
সহসভাপতি পদে আরো প্রার্থী হয়েছেন মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান ও এসএম আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ।
আর কার্যনিবাহী সদস্যের জন্য ১৫ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৩৬ জন। বাফুফে নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচন করছেন খুলনা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি এড. মো: সাইফুল ইসলাম। সালাহ উদ্দিন বিরোধী জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের প্যানেল থেকে তিনি নির্বাচন করছেন।
আগামী ৩ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মোট ১৩৯ জন ভোটার রয়েছেন এই নির্বাচনে।
খুলনা গেজেট/এএমআর