মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান বলেছেন, আমরা মোংলা বন্দর, খালিশপুরে ও নদীর ওপারে ৫ হাজার গাছ লাগাবো। গাছা লাগানোর মধ্যদিয়ে সবুজ বাংলাকে আরও সমৃদ্ধ করব। সবুজ বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় মোংলা বন্দর অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাবে। এই মোংলা বন্দরের উন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চল তথা বাংলাদেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এতে মোংলা বন্দরকে এগিয়ে নিতে আরও সহজ হবে।
সোমবার (১৫ জুলাই) মোংলা বন্দর সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। “করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা”, এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান আরও বলেন, প্রতিবছর সারা দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। বৃক্ষরোপণে আগ্রহ সৃষ্টি ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য সব সবুজের সম্ভারে আয়োজন করা হয় বৃক্ষমেলা, বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ ও অন্যান্য বর্ণাঢ্য কর্মসূচির। দেশব্যাপী এ বৃক্ষ আন্দোলনের পথিকৃত প্রবক্তা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেককে একটি করে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানোর আহবানের মাধ্যমে সবুজ- শোভিত সোনার বাংলা রচনার অভীষ্ট পদক্ষেপ নেন। আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁর নির্দেশিত পথই অনুসরণেপ্রত্যাশী ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাসসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার মধ্য দিয়ে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সহিষ্ণু সত্ত্বার মত গাছ প্রকৃতির ঢাল হিসেবে, বন্দরে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। আজ বন্দরে ৫হাজার ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কিবরিয়া হক, সদস্য (হারবার ও মেরিন), কাজী আবেদ হোসেন, সদস্য (অর্থ), ড.এ.কে.এম. আনিসুর রহমান, সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) ও মোঃ নুরুজ্জামান, পরিচালক (প্রশাসন) উপ সচিব মাখরুজ্জামান মুন্সিসহ বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভাগীয় প্রধান, সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
খুলনা গেজেট/এমএম