দু’চোখে ভেসে উঠে অতীত স্মৃতি বৈকালি
ক্লান্ত প্রহর, তৃষ্ণার্থ হৃদয়াবেগে প্রাণ অবিচল।
শীতের কুয়াশায় ঢাকা ঘন অরণ্য পাহাড়ি শোভায়
-রাঙামাটির পথ। অতো বাসনা অনল।
খুঁজেছি কাপ্তাই লেকের অপরূপ, সৌন্দর্য লুসাই
পাহাড়। দেখেছি ঊষার আলোয়,
সূর্যোদয় কিরণে, অপূর্ব সুন্দর শান্ত সকাল।
দেখেছি, লেকের নীল স্রোত, বরকলের সবুজ
পাহাড়ি ঝর্ণাধারা প্রবাহমান, ঊষায় স্বপ্নজাল।
একান্ত অনুরাগে, প্রকৃতির নয়নাভিরাম
স্নিগ্ধ সৌন্দর্যে, শতো আবেগ, স্বদেশের
মাটির মমতায়, অপূর্ব ভালোবাসায়, প্রেমের
রূপালী অনুভবে, আনন্দ-অশ্রু গড়ায়।
দেখি বাঁশঝাড় বনে, অন্ধকারে জোনাকজ্বলা
সন্ধ্যারাগ, চাঁদের জোৎস্নায়, ঝলমল আলোয়
পুলকিত মন, অভিনব বাসনায়। কতো সুখের
-আশায়। আকাশে খুঁজি ধ্রুবতারার শুভ্র সকাল।
নিঝুম দ্বীপ, হাকালুকির হাওরে ঝাঁকে ঝাঁকে
উড়ন্ত প্রবাসী পাখিদের কতো কলরব,
কলগুঞ্জন।
আমার প্রিয় জন্মভূমি, বাংলাদেশের প্রকৃতি
সবুজে জুড়ায় আমার মনপ্রাণ!
সুদূর দিগন্তে, প্রবাসী বহুজাতিক-
পাখিদের বিচরণ। প্রকৃতি-জীবন কতো মধুময়।
কতো অনুরাগে নিরন্তর জলাধারে – ডাকে
রাজঁহাস, মাছরাঙা ঠোঁট, দোয়েল, শালিক।
– বিলে ফুটে রক্তপথ, শুভ্র-শতদল।
এইসব চিরচেনা, কৃষ্ণচূড়া, লাল শিমুলে
প্রকৃতি সবুজে আমার প্রাণের কতো উচ্ছ্বাস ,
উচ্ছল বৃক্ষ ছায়া, প্রাণ শীতল বায়ু মিটায়,
– হৃদয়ের তৃষ্ণা। সদা সুখে-দু:খে –
বন্যার স্রোতে-মাটির মায়া-মমতা
– সদা অবিচল, বনছায়ায় প্রাণ-শীতল।
খুলনা গেজেট/এনএম