খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ | ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম তৈরির কারখানায় আগুনে নিহত ১
  শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল

সবজি ও মাছের দাম কমলেও ক্রেতাদের নাগালের বাইরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

সরবরাহ বৃদ্ধি ও দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বাগেরহাটে সবধরণের সবজি ও মাছের দাম কমেছে। অপরিবর্তিত রয়েছে মাংস ও মশলার দাম। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে শহরের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরণের সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ৬০ টাকা র্পযন্ত কমেছে। তবে পিয়াজ, রসুন, মরিচ, আদাসহ বিভিন্ন প্রকার মশলা এবং গরু, খাসি, মুরগি, ব্রয়লারের দাম আগের মতই আছে। মাছের দামও কমেছে বেশ। তবে এই দামও নাগালের বাইরে বলে দাবি সাধারণ ক্রেতাদের।

বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বেগুন, করল্‌লা, ঢেড়স, কাকরোল ৬০ টাকা, পেপে ৪০ থেকে ৫০, ঝিঙ্গে ৫০, মিস্টি কুমড়া ও পোটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৭০-৮০ টাকা পিসের লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা করে, কমেছে চাল কুমড়ার দামও। প্রতি পিস চাল কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত।

বাগেরহাটের বাজারে কমেছে মাছের দামও। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১১শ থেকে ১৩শ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১৫ থেকে ১৬শ টাকায়। ৩ থেকে ৫টায় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। কমেছে পাতারি, টেংরা, ফাইস্যা, চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রকার মাছের দাম। সব থেকে কম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছ।

এদিকে গরু, মুরগি ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে পূর্বের দামেই। প্রতি কেজি গরু ৭৫০, খাসি ১০০০ এবং মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-৮০ টাকা করে। মশলার দাম কমেনি একটুও। পিয়াজ ১১০, রসুন ২০০, মরিচ চারশ, মরিচের গুড়া ৫০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম বেড়েছে কেজি ২ টাকা থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। ৪২-৪৩ টাকার স্বর্না বুলেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৮ টাকায়, চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে জাত ভেদে ৫৮ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত। ৬৫ টাকা কেজির দেশি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজিতে।

এদিকে দ্রব্য মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরকে সাথে নিয়ে মাঠে নেমেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এদিন বেলা ১১‘টা থেকে শিক্ষার্থীদের বাজারের বিভিন্ন পাইকারি খুচরা বিক্রেতাদের দোকানে দোকানে ক্রয় ও বিক্রয় ভাউচার চেক করতে দেখা যায়। পণ্যের গুণগত মান যাচাই এবং ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কিনা সেটির তদারকি করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় প্রতিটি দোকানে মূল্যতালিকা ঝুলিয়ে রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন। শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগকে স্বাদুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

ছালেক শেখ নামের এক ভ্যান চালক বলেন, সবজি, চাল, মাছ, মাংস সবকিছুর দাম এত বেশি যে কিনে খাওয়ার উপায় নেই। আর দাম বাড়ে ১০০ টাকা কমে ১০ টাকা। দ্রব্য মূল কমাতে শিক্ষার্থীরা যে বাজার মনিটরিং করছে, তাতে আমরা খুব খুশি হয়েছি। এভাবে নিয়মিত মনিটরিং করলে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশাকরি।

মনিটরিং কাজে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী হাসিব বলেন, বাজারে অনেক অসংগতি রয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীদের সাথে সকথা বলেছি। তারা এসব সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন,নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা বাজার মনিটরিং করছি। সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের আমরা সচেতন করছি। কেউ যদি সিন্ডিকেট বা কারসাজি করে বেশি দামে পন্য বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ধরণের মনিটরিং ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!