খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কুমিল্লায় অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত বেড়ে ৭
  মানবতাবিরোধী অপরাধ : চিফ প্রসিকিউটর দেশে না থাকায় ফখরুজ্জামান ও সাত্তারের জামিন শুনানি ২ সপ্তাহ পেছাল আপিল বিভাগ
রাষ্ট্রীয়ভাবে পাটকল চালু ও সঞ্চয়পত্র প্রদানসহ চার দফা দাবি

সন্তানদের নিয়ে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি পাটকল শ্রমিকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রীয়ভাবে পাটকল চালু ও সঞ্চয়পত্র প্রদানসহ চার দফা দাবিতে সন্তানদের নিয়ে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাটকল শ্রমিকরা। শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকেলে খুলনার প্লাটিনাম জুবলি জুট মিল গেটের সামনে অনুষ্ঠিত গেট মিটিংয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের স্থায়ী শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা সঞ্চয়পত্র আদায় কমিটি।

গেট মিটিংয়ে বক্তারা বলেন, ২০২০ সালের ২ জুলাই রাতের অন্ধকারে পাটকল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন বলা হয়েছিল দুই মাসের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। তিন মাসের মধ্যে পাটকল চালু করা হবে। অথচ এখনো সকলের পাওনা পরিশোধ ও মিল চালু করা হয়নি। ৪০-৪৩ বছর কাজ করেছি কোনো সমস্যা হয়নি। প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছি তাতেও সমস্যা হয়নি। সঞ্চয়পত্রের সময় বলা হয়েছে নামের ভুল আছে, এফিডেভিট করতে হবে। সেটা করেও জমা দিয়েছি, অথচ প্রায় দুই বছর হতে চলেছে এখনো পাওনা বুঝে পাইনি। আজকে আমরা কর্মহীন। আমাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ দিতে পারি না। অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা খরচ দিতে পারি না। আমরা যতদিন টাকা না পাব রাজপথ ছাড়ব না। আমরা ভুখা অবস্থায় প্রয়োজনে ছেলেমেয়েদের নিয়ে রাজপথে নামব। এখনো হাজার হাজার শ্রমিকের পাওনা বকেয়া রয়েছে। আশ্বাস দিলেও শ্রমিকরা পাওনা পাচ্ছেন না। ঈদের আগেই অবহেলিত শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধের দাবি জানান তারা।

শ্রমিকরা জানায়, আগামী ২ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ ও ১০ এপ্রিল নতুন রাস্তা মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।

শ্রমিকদের দাবিগুলো হচ্ছে- ১. সকল রাষ্ট্রয়াত্ত পাটকলের স্থায়ী শ্রমিকের সঞ্চপত্র দিতে হবে। ২. সকল শ্রমিকের অন্যান্য আনুসাঙ্গিক পাওনা দিতে হবে। ৩. রাষ্ট্রয়াত্ত মিল রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু করতে হবে। ৪. সকল দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, শ্রমিকের নামের ভুলের দায়-দায়িত্ব মিল কর্তৃপক্ষের। এতদিন কেন শ্রমিকদের নাম সংশোধন করা হয়নি। ৩২-৪০ বছর শ্রমিকরা কাজ করেছে, মজুরি তুলেছে। তাহলে এতদিন কীভাবে তারা এই মজুরি তুলল। এখন কেন তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে? মিল বন্ধ করে শ্রমিকদের প্রতি অমানবিক কাজ করা হয়েছে।

গেট মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক শেখ মো. সাদেকুজ্জামান। মিটিংয়ে বক্তব্য দেন করেন প্লাটিনাম জুট মিলের সাবেক সভাপতি মো. খলিলুর রহমান, বদলি শ্রমিক নেতা মো. নুর ইসলাম, শ্রমিক নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, আলমগীর হোসেন, মোশাররফ হোসেন, আল আমিন শেখ, শ্যামল প্রমুখ।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!