যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেছেন, প্রতিটি স্কুলে ‘সততা স্টোর’ সততা চর্চার একটি অন্যতম প্লাটফর্ম। এটি একটি প্রতীক। নতুন প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা এবং অল্প বয়স থেকেই দুর্নীতি বিরোধী নৈতিকতায় উদ্বুদ্ধ করার এ উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান। একই সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারে সততা স্টোর গড়ে তোলার আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, শিশু যখন পৃথিবীতে ভুমিষ্ট হয়, তখন সততা নিয়েই জন্ম গ্রহণ করে। কিন্তু জন্মের পর পরিবার থেকেই সে অসৎ হওয়ার শিক্ষা পেয়ে থাকে। এরপর খারাপ সঙ্গে মিশে গিয়ে সে অসৎ হয়ে উঠে। এ কারণে শিশুকে প্রথমে পরিবার থেকেই সততার শিক্ষা দিতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন ।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে ‘দূর্নীতির সময় শেষ গর্ব সোনার বাংলাদেশ’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে দূর্নীতি দমন কমিশনের শিক্ষাবৃত্তি, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, প্রতিষ্ঠানে সততা স্টোরে অর্থ প্রদান ও শিক্ষার্থী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আল-আমিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সোয়েব হোসেন, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র দেবনাথ।
বক্তারা বলেন, ‘সততা স্টোর’ থেকে যেসব শিক্ষার্থী পণ্য কিনছে, তারা পণ্য কেনার পাশাপাশি তাদের দিতে হচ্ছে সততা এবং বিবেকের পরীক্ষা। যে কেউ চাইলে এখান থেকে মূল্য পরিশোধ না করে চুপিচুপি পণ্য নিয়ে চলে যেতে পারবে। কিন্তু তারা সেটা করছে না। অর্থাৎ সরকারের এ উদ্যোগ সার্থক হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আল-আমিন বলেন, দুর্নীতির মাত্রা কমিয়ে আনতেই তাদের এ আয়োজন। মুলত একটি মানুষের শিক্ষা জীবনের হাতে খড়ি স্কুল জীবন থেকেই। ফলে স্কুল থেকেই শিশুকে সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের এ আয়োজন।
তিনি বলেন, যশোরের ১৭৫ টি স্কুলে সততা স্টোরে টাকা দেয়া হবে।
শেষে দুদকের পক্ষ থেকে ১৪ জনকে উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ ও ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে সততা স্টোরের টাকা বিতরণ করা হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে