খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ
  সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম মারা গেছেন
  ভারতে হাসপাতালে আগুন লেগে ১০ শিশুর মৃত্যু

ঢাবি শিক্ষার্থী-আনসার সংঘর্ষে সচিবালয় এলাকা রণক্ষেত্র, ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী

গেজেট ডেস্ক

রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। রোববার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সেনাবাহিনী। তারা ঘটনাস্থলে এসে আনসার সদস্যদের সরিয়ে দেন। ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

দুই সমন্বয়কের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের আন্দোলনের কারণে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। তাদের অনেকেই এখন ক্ষুধায় কাতর। বের হওয়ার জন্য এ গেট থেকে ওই গেটে ছুটলেও বের হতে পারননি তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটক রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে আনসার সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরাও পিছু হটে।

এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের ফেসবুক পোস্টে আটক রাখার বিষয়টি জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। পরে রাত ৯টায় তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোতাসিম বিল্লাহ মাহফুজ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, উপদেষ্টা নাহিদ ভাইসহ হাসনাত ও সার্জিস ভাইকে সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিপথগামী কিছু আনসার সদস্য ও ছাত্রলীগের প্রেতাত্মারা। আমরা সবাই মিলে সচিবালয়ে মার্চ করে।

এ ছাড়াও ফেসবুক কমেন্টে জানান, ‘এসব করাচ্ছে এনামুল হক শামীম, শরিয়তপুর আসনের সাবেক এমপি। তার বড় ভাই এই আনসারের ডিজি ছিলেন। এবং এই সব আনসার তার ভাইয়ের রিক্রুটেড।’

বিভিন্ন দাবি নিয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসা আনসার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস ও দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আমরা আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করছি।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আমরা তিন উপদেষ্টা এবং অন্যান্য সহকর্মী সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, এখন থেকে আনসারে কোনো ‘রেস্ট প্রথা’ থাকবে না। একই সঙ্গে অন্যান্য দাবি-দাওয়াগুলো নিয়ে একটি কমিটি করা হবে। এই কমিটি সবকিছু পর্যালোচনা করে আমাদের কাছে প্রতিবেদন পাঠাবে। সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আমরা একটি সিদ্ধান্ত নেব।

আনসারে ‘রেস্ট প্রথা’ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতি তিন বছর চাকরির পর আনসার সদস্যদের ছয় মাস রেস্টে থাকা লাগে। এই ছয় মাস পর তারা আবার জয়েন করেন। এই ছয় মাস তাদের খুব মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। নিয়োগ বিধিমালা থেকে এই প্রথা বাতিল করে কীভাবে তাদের চাকরিতে রেগুলার করা যায়, সে প্রক্রিয়ায় কাজ করা হচ্ছে। সাধারণ আনসারদের মধ্যে চারজন প্রতিনিধি নিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে তারা একটি সুপারিশ দেবেন।

এ সময় তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, যেহেতু একটি কমিটি হয়েছে, সেহেতু বিচার-বিশ্লেষণ করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমাদের একটি জাতীয় সংকট চলছে। আমাদের অনেকদিকে কাজ করা লাগছে। এই দুর্যোগকালীন সময়েও এই সুপারিশ কমিটি সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে। আনসার ভাইদের যে সমস্যা, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে একটি যৌক্তিক সমাধানে আমরা পৌঁছাব।

তাদেরকে মুক্ত করে নিয়ে আসব। সবাই যোগ দিন, বিষয় সবাইকে অবগত করুন, অতীব জরুরি।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!