আমলাদের সতর্ক করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন ‘গণভবন ও ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের পরিণতি যেনো সচিবালয়ের না হয়।’ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এক লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
আমলা ও পুলিশ বাহিনীকে সতর্ক করে হাসনাত বলেন, সিভিল সোসাইটিতে যারা রয়েছেন, সিভিল সার্ভিসে যারা রয়েছেন, পুলিশে যারা রয়েছেন; আমরা আপনাদের এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই, মানুষ আপনাদের সমর্থন করবে। আওয়ামী লীগ আপনাদের নিয়োগ দিয়েছে, সুযোগ দিয়েছে, সুবিধা দিয়েছে; কিন্তু জনগণের বিপক্ষে আপনাদের দাঁড় করিয়েছে। জনগণের বিপক্ষে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই জিনিসটা আপনারা বুঝুন, জনগণের জন্য কাজ করুন, জনগণের শক্তিটা অনুভব করুন।
প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি খুব করে চাইব, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের পরিণতি যেনো সচিবালয়ের না হয়। এটা মন থেকে চাইব- সচিবালয়ের পরিণতি যেনো এ বছর না হোক, ১০ বছর পরে, ১৫ বছর পরে ২০ বছরে সচিবালয়ের পরিণতি যেনো ধানমন্ডি ৩২, গণভবনের মতো না হয়। সুতরাং শিক্ষা গ্রহণ করুন। আপনারা যদি মনে করে থাকে আপনারা দুর্দান্ত প্রতাপশালী, আপনাদের বলি, বেনজীর পালায় যেতে বাধ্য হয়েছে। ডিবি হারুন পালাতে বাধ্য হয়েছে। কারণ তারা জনগণকে সাথে নিয়ে থাকেনি আওয়ামী লীগকে কিবলা মনে করেছিল।
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের দখলদারিত্ব বুঝে নিন, এই ভূখণ্ডের দখলদারিত্ব বুঝে নিন। প্রজা না হয়ে নাগরিক হয়ে উঠুন, রাষ্ট্রের প্রতি আপনার যে অধিকার রয়েছে তা বুঝে নিন। অতীতে যেভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, ব্যবহৃত হয়েছেন সেটা পুনরাবৃত্তি যেনো না হয়। জনগণের ক্ষমতার কুক্ষিগত যেনো না হয়। গণতন্তের যে স্বপ্ন আমরা দেখেছি, এই সংস্কারের মধ্য দিয়ে সেখানে পৌঁছে যাব। আওয়ামী লীগের প্রতি ক্ষোভকে পুঁজি করে সম্পদ দখল, ভূমি দখল; কেউ যেনো করতে না পারে- এটা নিশ্চিত করবেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো দল না, আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি, তাদের ভিত্তিটা একটা মিথ্যার ওপর। এই মিথ্যা প্রোপাগান্ডার জন্য আওয়ামী লীগ একটি জনবিবর্জিত দলে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম ফিলিংস নেই। ক্ষমা চাওয়ার কোনো ফিলিংস নেই। এখনো তাদের হুমকি-ধামকি অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পরে সবচেয়ে স্বাধীনতা ভোগ করছে আওয়ামী লীগ। তাদের কমেন্ট দেখলেই বোঝা যায়। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমেন্টে হুমকি ধামকির স্বাধীনতা উপভোগ করছে। তাদের মধ্যে কোনো ভয় ভীতি নেই। তারা এখনো হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, নির্যাতিত ও নিপীড়িত ছিল বিএনপি, জামাত ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো। আর নির্যাতকের ভূমিকায় ছিল আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে যারা নিপীড়িত, পরবর্তী বাংলাদেশটা আমাদের। আমরা যারা ফ্যাসিবাদ উৎখাত করেছি এই বাংলাদেশটা আমাদের।
খুলনা গেজেট/ টিএ