সকাল থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে গণসমাবেশস্থলে যেতে শুরু করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাক, মাইক্রোবাস ও ট্রলারে করে তারা খুলনায় আসছেন। নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়, রেলস্টেশনে মিলিত হয়ে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন। নগরীতে রিক্সা ও ইজিবাইক চলাচল কম ছিল। হোটেল রেস্তোরাঁ গুলোতে বিক্রি বেড়েছে।
আজ শনিবার নগরীর ডাকবাংলো চত্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরুর কথা রয়েছে। অবশ্য ভোর ৬টা থেকেই সমাবেশ মঞ্চ থেকে বক্তৃতা চলছে। গণসমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার রাতেই খুলনায় পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
সকালে ডাকবাংলো মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, সমাবেশস্থলের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থান করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সমাবেশ মঞ্চ থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে টানানো হয়েছে ১২০টি মাইক। মঞ্চের নিচে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতারা বক্তব্য রাখছেন।
মোংলা থেকে দেড় হাজার কর্মী সমাবেশ স্থলে পৌঁছেছে। মোংলা থানা বিএনপি’র সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন জানান, যুবদল, মহিলা দল ও ছাত্রদলের কর্মীরা বাস বন্ধ থাকায় ইজিবাইক মাহেন্দ্র ও ভ্যানযোগে খুলনায় আসে। বেলা সাড়ে ১০ টায় নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল আসতে থাকে। মিছিলকারীদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা ও ধানের শীষ।
নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান করছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোল্লা মফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভোর ৫টায় তারা খুলনায় পৌঁছেছেন। কিছু সময়ের মধ্যেই মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যাবেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন জানান, সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। সমাবেশের সময় থাকবে ড্রোন ক্যামেরার নজরদারি। এছাড়া সমাবেশের শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করবে ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক।
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন সরকার, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মী হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা দেয় বিএনপি। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহের পর আজ শনিবার তৃতীয় গণসমাবেশ হচ্ছে বিভাগীয় শহর খুলনা।
খুলনা গেজেট/ টি আই