দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ৭ জানুয়ারি। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, বাছাইয়ের তারিখ ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর।
এর আগে বিকেলে তফসিল নিয়ে ২৬তম কমিশন বৈঠকে বসেন কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩ দফা (৩) উপদফা (ক)-এর বরাতে এবং নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেন সিইসি। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার আগে বিকেল পাঁচটায় নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনাররা। সেখানে নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হয়।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করতে হয়। চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। এর আগের ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। ২ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটারসংখ্যা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮৫২।
এমন সময় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলো, যখন বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে। বিএনপি এবং যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও জোট তফসিল ঘোষণা করা হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথা বলে আসছে।
এমন পরিস্থিতিতে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্র তিন দলকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয়।
খুলনা গেজেট/এইচ