তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে গতকাল বুধবার শুনানি শেষ হয়। তবে এ-সংক্রান্ত আলাদা রিটের রায় কবে দেওয়া হবে, তা আজ বৃহস্পতিবার জানা যাবে।
গতকাল দ্বাদশ দিনে আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও আইনজীবী এএসএম শাহরিয়ার কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদ উদ্দিন।
ফিদা এম কামাল বলেন, বিদ্যমান সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা থাকে না। আইন প্রণয়নই সংসদ সদস্যের মূল কাজ। অথচ কালভার্ট বানানো, ম্যানেজমেন্ট কমিটি ইত্যাদি নিয়ে তাদের ব্যস্ত দেখা যায়। জনগণ সার্বভৌম হলেও তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন দেখা যায় না। এক রায়ে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদে ৭০ শতাংশ সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী। এখানে অর্থই চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
শাহরিয়ার কবির বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয় এক ব্যক্তির শাসন কায়েমের জন্য, যা সংবিধানের মূল চেতনা ও জনগণের ইচ্ছার পরিপন্থি।
২০১১ সালের ৩০ জুন সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়। এর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই সংশোধনী আইন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেন। পরে এই রুল সমর্থন করে সহায়তাকারী (ইন্টারভেনার) হিসেবে যুক্ত হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও গণফোরাম। এ ছাড়া মোফাজ্জল হোসেন নামে এক মুক্তিযোদ্ধাও রিট করেন।
খুলনা গেজেট/এইচ