নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহতের পর উপজেলার বসুরহাটে আবারো ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল হক মীর।
বিকাল থেকে দফায় দফায় বসুরহাট বাজারে নতুন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে আলা উদ্দিন নামে এক সিএনজিচালিত অটিারিকশাচালক নিহত হয়েছেন। এ সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও পাঁচ পুলিশসহ অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল হক মীর বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ও সংঘর্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় বুধবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ আদেশ চলাকালে পৌর এলাকায় ব্যক্তি, সংগঠন, রাজনৈতিক দল, গণ-জমায়েত, সভা-সমাবেশ, মিছিল, র্যালি, শোভাযাত্রাসহ যে কোন ধরনের অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পৌর শহরে চারজনের বেশি লোক জমায়েত হতে পারবে না।
এদিকে, এ সংঘর্ষে হৃদয় নামে গুলিবিদ্ধ একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অপর নয়জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের গোলাগুলিতে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহত হন। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল একই স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পরে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার বসুরহাটে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন।
খুলনা গেজেট/কেএম