করোনা ভাইরাসের কারণে অনেক জলঘোলা করার পর অবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল টেস্ট সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও আয়োজক শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) অক্টোবর-নভেম্বরে টেস্ট সিরিজ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্ল্যান বা এফটিপি অনুযায়ী তিনটি টেস্টই মাঠে গড়াবে। এর আগে টেস্টের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি সিরিজ রাখারও পরিকল্পনা করছিল বিসিবি। তবে সফরকারী বাংলাদেশের বিপক্ষে স্বাগতিক লঙ্কানরা তিনটি টেস্টই খেলবে। টেস্ট তিনটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত।
অক্টোবরে ও নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য তিনটি টেস্ট খেলার জন্য আগামী সেপ্টেম্বরের শেষদিকে শ্রীলঙ্কা উড়াল দিতে পারে। শ্রীলঙ্কা যাওয়ার আগে দলগত অনুশীলন করবে মুমিনুল হকের দল।
তবে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরে টাইগার ক্রিকেটারদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। মূলত ঘরবন্দী সময়টা নষ্ট না করতেই বিসিবির এমন চাওয়া। কিন্তু সবার নিরাপত্তা চিন্তা করে প্রতিপক্ষ শিবিরের সংস্পর্শে যাবেনা বেশ কিছুদিন। দেশ ছাড়ার আগে ও পরে করোনা টেস্ট হবে দফায় দফায়।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন এ প্রসেঙ্গে বলেন, ‘করোনা সতর্কতা নিয়ে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা জানিয়েছে নিয়ম অনুসারে বাংলাদেশ থেকেই ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট নিযে যেতে হবে। এরপর শ্রীলঙ্কায় গিয়ে জরুরি ভিত্তিতে আরো একবার করোনা টেস্ট করাতে হবে সবাইকে।’
‘সেই রিপোর্ট নেগেটিভ হলে ক্রিকেটাররা অনুশীলন শুরু করতে পারবে। তাদের ১৪ বা ৭ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে না। তবে অনুশীলনটা বাংলাদেশ দল একা একা করবে। সেখানে লঙ্কান কেউ থাকবে না।’
দুই বোর্ডের আলোচনাধীন সিরিজটি চূড়ান্ত হবে আজ কালের মধ্যে। জানা গেছে সেপ্টেম্বরের শেষদিকে শ্রীলঙ্কা সফরের উদ্দেশ্যে উড়াল দিবে বাংলাদেশ। তিন ম্য্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি মাঠে গড়াবে ১৫ অক্টোবরের পর। সতর্কতার কারণে ২০-২৫ দিন আগেই চলে যাওয়া টাইগার ক্রিকেটারদের কোয়ারেন্টাইনে রেখে সময় নষ্ট করতে চায় না বিসিবি।
ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধাআন আকতরাম খান বলেন, ‘আেেমা আসলে ১৪ দিন বসে থাকতে চাচ্ছিলাম না। এ বনিয়ে আলোচনা চলছে। তবে সতর্কতার জচন্য ২০ থেকে ২৫ দিন আগেই লঙ্কা সফরেযাচ্ছি। সেখানে গিয়েও আমাদের সবাইকে করোনা পরীক্ষা দিতে হবে।’
‘এতে যারা পজেটিভ আসবে তাদের আইসোলেশনে পাঠানো হবে। তবে আমরা এখান থেকে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে শ্রীলঙ্কা যাবো। যেন সেখানে লম্বা সময়টা ক্রিকেটারদের বসে কাটাতে না হয়। অনুশীলন করে যেন ঘ্টাতি পূরণ করা যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।’- যোগ করেন আকরাম খান।