আইপিএল বিপিএল এর মত অবশেষে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। এশিয়ার মধ্যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সবচেয়ে ভালো শ্রীলঙ্কায়। তাই অনেক আগে থেকেই মাঠের অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা দলের ক্রিকেটাররা।
আগে বাংলাদেশ এবং ভারতকে তাদের দেশে সিরিজ খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকার কারণে সেই সিরিজ বাতিল করে ভারত এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
সেই ফাঁকে আট বছর পর আবারও ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। আগামী ২৮ আগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট।
পাঁচটি দল, কলম্বো, ক্যান্ডি, গল, ডাম্বুলা ও জাফনা প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করবে। লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) প্রথম আসরে অংশ নিতে ১৪৩ জন বিদেশি ক্রিকেটার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কান বোর্ড।
যাদের মধ্যে নাম আছে সাবেক ভারতীয় পেসার ইরফান পাঠান ও নিউজিল্যান্ড তারকা ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিলেরও। তবে বাংলাদেশ থেকে কোন ক্রিকেটার এই লিগে খেলবে কি না তা এখনো চূড়ান্ত ভাবে জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশ থেকে একাধিক ক্রিকেটার।
তার কারণ এই টুর্নামেন্টের পরেই শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সেখানে তিনটি টেস্ট এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। আগস্টের শুরু থেকেই লিগ চালু করতে চেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু কলম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংস্কার কাজ চলায় লিগ পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে আয়োজকরা।
পাঁচ দল নিয়ে শুরু হবে শ্রীলঙ্কার এই টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার লিগ। নিলামের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের দলে ভেড়াবে ফ্র্যাঞ্জাইজিরা। সর্বোচ্চ ছয়জন বিদেশি ক্রিকেটার রাখা যাবে স্কোয়াডে।
চারজন খেলানো যাবে একাদশে। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে ২৩টি। চারটি আন্তর্জাতিক ভেন্যু প্রেমাদাসা, রনগিরি, পাল্লাকেল্লে ও সুরিয়াওয়া মাহিন্দ্রা রাজাপাকসে স্টেডিয়ামে ম্যাচগুলি আয়োজন হবে।
জীবাণুমক্ত পরিবেশে লিগ শুরু করতে আশাবাদী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। টুর্নামেন্টের উত্তেজনা বাড়াতে মাঠে ২০ ভাগ দর্শক ঢোকার অনুমতিও দেবে আয়োজকরা। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পরেই অক্টোবরের প্রথম দিকে শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে পারে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
খুলনা গেজেট/এএমআর