ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে শ্রীলঙ্কা। গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ক্ষুব্ধ জনগণ প্রতিদিনই নেমে আসছেন রাস্তায়, বিক্ষোভ আর স্লোগানে ফেটে পড়ছেন তারা। কিন্তু কেন এ সংকট তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে।
সোমবার (১১ এপ্রিল) সংকটপীড়িত জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের ছোট ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা বলেছেন, দেশের অর্থনীতি আগে থেকেই দুর্বল ছিল।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আরও দুর্বল হয়ে গেছে। মহামারি মোকাবিলা করতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফুরিয়ে গেছে। খবর এনডিটিভির।
ভাষণে তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির মোকাবিলা করতে গিয়ে আমরা এ সংকটের মুখে পড়েছি।’ তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে জেনেও করোনা ঠেকাতে আমাদের লকডাউন দিতে হয়েছে। আর এ কারণেই মজুত বৈদেশিক মুদ্রা ফুরিয়ে গেছে।’
এদিকে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ও তার সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রোববারও বিক্ষোভ হয়েছে। এদিন রাজধানী কলম্বোর পুরনো পার্লামেন্ট ভবনের সামনে জড়ো হন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা চাই প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ। আমরা চাই না এই সরকার আর সরকার পরিচালনা করুক। এ সরকারের দেশ চালানোর কোনো যোগ্যতাই নেই। আমরা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ।’
শ্রীলঙ্কায় খাদ্য দ্রব্যের সংকট, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের জন্য চারদিকে হাকাকার। এ অবস্থার জন্য সাধারণ জনগণের মতো বর্তমান সরকারকে দায়ী করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাদিত্য। সতর্ক করে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সহায়তা পৌঁছানোর আগেই শেষ হয়ে যাবে বাকি থাকা সব খাদ্য ও জ্বালানি।
২০১৯ সালের নির্বাচনে বড় জয় নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর শক্তভাবে অর্থনৈতিক পরিস্হিতি সামাল দিতে পারেননি গোতাবায়া রাজাপক্ষেে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তাকে দায়ী করা হলেও কোনো অবস্হাতেই পদত্যাগ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।