দুর্দান্ত জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। মূল পর্বের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ও টি-২০’র চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৮৯ রানে হারিয়েছিল। আফগানদের বিপক্ষে পরের ম্যাচটা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় একটু ধাক্কা খেয়েছিল কিউইরা। শনিবার শ্রীলঙ্কাকে ৬৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ওই ধাক্কা সামলে সেমিফাইনালের স্বপ্ন মজবুত করেছে গেল আসরের রানার্স আপরা।
সিডনি গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। তবে শুরুটা হয় ভুলে যাওয়ার মতো। ১৫ রানে টপ অর্ডারের তিন ভরসা ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে ও কেন উইলিয়ামসন ফিরে যান। বিপদে পড়া দলকে এক প্রান্ত দিয়ে দুর্দান্তভাবে টেনেছেন গ্লেন ফিলিপস। ডার্লি মিশেলের সঙ্গে তিনি ৮৪ রানের জুটি গড়েন। নিজে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেন।
মিশেল ২৪ বলে ২২ করে ফিরলেও ফিলিপস ফেরেন ইনিংসের শেষ ওভারে। তার ব্যাট থেকে ৬৪ বলে ১০৪ রানের অসাধারণ ইনিংস আসে। দশটি চারের মার দেখান এই ডানহাতি ব্যাটার। ছক্কা তোলেন চারটি। কিউইরা ৭ উইকেটে তোলে ১৬৭ রান।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হারের পথে পা বাড়ায় শ্রীলঙ্কা। ৮ রানে হারায় ৪ উইকেট। পঞ্চম উইকেট পড়ে দলের রান ২৪ হলে। ওই ধাক্কা থেকে চার বল থাকতে ১০২ রানে অলআউট হওয়াও যেন সাফল্য। শ্রীলঙ্কাকে শতরানের নিচে অলআউটের লজ্জা থেকে বাঁচানোর কৃতিত্ব ভানুকা রাজাপক্ষে ও দাশুন শানাকার। পাঁচে নামা রাজাপক্ষে ২২ বলে ৩৪ ও সাতে নামা অধিনায়ক শানাকা ৩২ বলে ৩৫ রান করেন। দলের আর কেউ দশ রানের ঘরে ঢুকতে পারেননি।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ট্রেন্ট বোল্ট। তিনি ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া দুই স্পিনার মিশেল সাটলার ও ইশ শোধি দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার পেসার কাসুন রাজিথা ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় একটি উইকেট দখল করেন। এই জয়ে নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ৩ ম্যাচে পাঁচ। অন্য দিকে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও আয়ারল্যান্ড তিন ম্যাচ থেকে তিন করে পয়েন্ট তুলেছে। নেট রান রেটে কিউইরা বেশ এগিয়ে। তাদের বাকি দুই ম্যাচ ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।