লিটন দাস ও সৌম্য সরকার শক্ত ভিত গড়ে দেওয়ার পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে জয়ের পথে ছুটতে থাকে বাংলাদেশ। তাদের জুটি ৩৬ বলেই করে পঞ্চাশ। ১৭তম ওভারে দেড়শ রান করে ফেলেছে বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচে বড় লক্ষ্যে নেমেও দুর্দান্ত লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জাকের আলীর অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ের দাবি রেখেছিল তারা। কিন্তু তীরে গিয়ে তরী ডোবে। ৩ রানে হেরে যায়। বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের জন্য সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। মাঝের ওভারে শ্রীলঙ্কা ভালো ব্যাটিং করলেও বাংলাদেশের বোলারদের নৈপুণ্যে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান করে। সেই লক্ষ্য ১১ বল হাতে রেখে ছুঁয়েছে স্বাগতিকরা।
লিটন দাস ও সৌম্য সরকার শক্ত ভিত গড়ে দেওয়ার পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে জয়ের পথে ছুটতে থাকে বাংলাদেশ। তাদের জুটি ৩৬ বলেই করে পঞ্চাশ। শেষ দিকে চ্যালেঞ্জ ছিল শান্ত হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেন কি না। লক্ষ্য থেকে ৮ রান দূরে থাকতে হৃদয় ছয় মারলে কাজটা কঠিন হয়ে পড়ে। তখন ফিফটির জন্য শান্তর দরকার ৩ রান, আর জিততে ২! তবে ১৯তম ওভারের প্রথম বলে দাসুন শানাকাকে ছয় মেরে নিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি হাফ সেঞ্চুরি করেন এবং দলও জিতে যায়। দুজনের ৫৫ বলে ৮৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৮ উইকেটে বাংলাদেশ জয়ের বন্দরে পৌঁছায়।
৩৮ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন শান্ত। ২৫ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ৩২ রানে খেলছিলেন হৃদয়। তার আগে সৌম্য ২৬ ও লিটন ৩৬ রান করেন।
শ্রীলঙ্কার ১৬৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১৮.১ ওভারে ২ উইকেটে করে ১৭০ রান। তাতে সিরিজে ১-১ এ সমতা ফেরালো স্বাগতিকরা। আগামী ৯ মার্চ সিলেটেই হবে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।
খুলনা গেজেট/কেডি