খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  নুসরাতকে কারাগারে পাঠানো বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে : এনসিপি
  চলতি মাসেই গার্মেন্টস কর্মীদের বোনাস, জুনের শুরুতে দিতে হবে বেতন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উৎখাত ও পদত্যাগ চাইলো ১৩ গণসংগঠন

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহে সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা

গেজেট ডেস্ক

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়৷ শ্রদ্ধা জানানো শেষে সেখানে তাকে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।

বারডেম হাসপাতালের হিমাগার থেকে ফ্রিজিং ভ্যানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়ার পর সবার আগে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী। পরে বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের নেতৃবৃন্দ, রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল, ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বহুবছর ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি তার বার্ধক্যজনিত জটিলতাগুলো খারাপের দিকে যায়। এর মধ্যে সোমবার তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে। তার বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আর মা হাছিনা বেগম চৌধুরী ছিলেন গৃহিনী। মা–বাবার ১০ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়। ১৯৭১ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ভারতের আগরতলায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করেন।

মুক্তিযুদ্ধের পর সেই হাসপাতালের নামেই একটি প্রতিষ্ঠান গড়তে চেয়েছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে নাম ঠিক করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

হাসপাতালের পাশাপাশি ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিও গড়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৮২ সালে দেশে প্রথমবারের মতো ঔষধ নীতি প্রণয়নেও তার ভূমিকা ছিল।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!