খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রীতি ম্যাচ : মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সামতায়
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ
প্রস্তুত ১৬৩ আশ্রয়কেন্দ্র

শ্যামনগর উপকূলে নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছে। ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে উপকূলের জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধের উপর আচড়ে পড়ছে পানির স্রোত। এতে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েছে উপকূলের মানুষ।

শ্যামনগর উপজেলার উপকূলবর্তী গাবুরা, পদ্মপুকুর, আটুলিয়া, বুড়িগোয়ালিনী, কৈখালী, রমজাননগর ও মুন্সিগঞ্জ এলাকায় নদীপাড়ের বসবাসকারীদের কাছ থেকে জানা গেছে, দুপুরের জোয়ারের স্বাভাবিকের চেয়ে নদীতে দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলার আটুলিয়ার জুবায়ের মাহমুদ জানান, উপকূলীয় এলাকায় সকাল থেকেই ঝড়ো বাতাস বইছে। দুপুরের জোয়ারে খোলপেটুয়া নদীতে স্বাভাবিক জোয়ার ছাড়া ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তাল হতে শুরু করেছে নদী। সঙ্গে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে।

গাবুরা ইউনিয়নের হুদা মালি জানান, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব ও পূর্ণিমার জোয়ারের কারণে খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদীতে স্বাভাবিক জোয়ার ছাড়া ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গাবুরার পরিস্থিতি এখনো পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে।

ইতিমধ্যে শ্যামনগর উপকূলের চুনা নদীতে জোয়ারের পানি কয়েক ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় কলবাড়ি জেলেপাড়ায় বসবাসকারী ১৩টি জেলে পরিবারের বসত ঘরের আঙ্গিনায় জোয়ারের পানি ওঠার খবর পাওয়া গেছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিবুল আলম বলেন, শ্যামনগর উপজেলার ১৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে বি‌ভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য বহুতল ভবন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে।

এছাড়া, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী মজুত আছে। আমরা ঘূ‌র্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা দেখে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব। তবে সবার জন্য বলব, কেউ যেন ঝুঁকি নিয়ে অনিরাপদ আশ্রয়ে না থাকেন।

এদিকে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), রে‌ড‌ ক্রিসেন্টসহ বি‌ভিন্ন বেসরকা‌রি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বা‌হিনী, ফায়ার সা‌র্ভিস ও রোভার স্কাউটের সদস্যরাও যেকোনো ধরনের সহায়তার জন্য প্রস্তুত আছেন বলে জানা গেছে।‌

শ্যামনগর উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্টের টিমলিডার আনিসুর রহমান মিলন বলেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য শ্যামনগর উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্টের ৭০জন সদস্যের একটি শক্তিশালী টিম ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে।

এছাড়া শ্যামনগর উপজেলার জন্য যুব রেড ক্রিসেন্টের হটলাইন চালু করা হয়েছে, যার নং- ০১৩০৯-৯৩৫৪১২।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!