সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জে সংখ্যালঘু পল্লীতে হামলার নায়ক বাহিনী প্রধান আব্দুল আলিমকে গ্রেপ্তার করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ। শুক্রবার(১৪ মে) রাত সাড়ে বারোটায় উপজেলার বংশীপুরের বরফ মিলের পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মোঃ আব্দুল আলিম (৩১) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর গ্রামের মোঃ আবু বাক্কার গাজীর ছেলে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজমুল হুদা জানান, গত ১৩ এপ্রিল মুন্সিগঞ্জের ফুলতলা এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর মামলার তিন নম্বর আসামী ছিল আব্দুল আলিম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রিপন শুক্রবার রাতে বংশীপুরের বরফ মিলের পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১৩ এপ্রিল রাতে প্রেমঘটিত একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আকবর পাড় ও পল্লব মন্ডলের সহায়তা নিয়ে আলিম বাহিনীর সদস্যরা ফুলতলা পল্লীতে হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীদের তান্ডবে গোটা সংখ্যালঘু পল্লীতে এক নারকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। হামলাকারীরা দুটি মন্দির হামলা করে প্রতিমা ভাংচুরসহ বেশ কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে লুটপাট চালায়। এসময় আলিম বাহিনীর হামলার শিকার অন্তত ১৩ জনকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনার রাতে কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। পর দিন সুভাষ বাউলিয়া হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
এদিকে মামলার তিনজন আসামী ইতিপূর্বে গ্রেপ্তার হলেও প্রধান দুই আসামীসহ বাহিনী প্রধান আলিম ছিল ধরা ছোয়ার বাইরে। সংখ্যালঘু পল্লীতে হামলার ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার না করার পাশাপাশি মামলা তুলে নিতে অব্যহত হুমকির কারনে সম্প্রতি সংখ্যালঘু পরিবারগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বেড়ে যায়। এমতাবস্থায় দুর্ধর্ষ আলিম বাহিনী প্রধান আলিমকে গ্রেপ্তার করায় তাদের উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা কিছুটা হলেও কমবে বলে দাবি স্থানীয়দের।
অপরদিকে আলিমকে গ্রেপ্তারের পর মামলা অপর আসামী যারা এলাকায় ঘোরাফেরা করছে এবং মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে, নানাভাবে সংখ্যালঘু পরিবারগুলোকে শাসাচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
খুলনা গেজেট/ এস আই