সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের ধূমঘাট আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং আয়া পদে লোক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এনে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগিরা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় কুমার মন্ডল ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতি তপন কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে শুক্রবার (১২ নভেম্বর) শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সম্মূখে এই মানববন্ধন কর্মসুচির আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শ্যামনগরের ধূমঘাট আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং আয়া পদে লোক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তুু সভাপতি তপন কুমার মন্ডল ও প্রধান শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় কুমার মন্ডল পরষ্পর যোগসাজসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে নিরাপত্তাকর্মী পদে ধুমঘাট গ্রামের বিনন্দ মন্ডলের ছেলে শশাঙ্ক কুমার মন্ডল, পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে একই গ্রামের সুভাষ মন্ডলের ছেলে দেবব্রত মন্ডল এবং আয়া পদে সন্দ্বীপ মন্ডলের স্ত্রী ইতি মন্ডলকে নিয়োগ দেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এজন্য উল্লেখিতদের নিয়োগ দেয়ার জন্য তড়িঘড়ি করে শুক্রবার (১২ নভেম্বর) নকিপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে পাতানো নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করেন। বিষয়টি জানতে পেরে নিরাপত্তাকর্মী পদে আবেদনকারী পলাশ পাইকের ছেলে সুজল চন্দ্র পাইক উক্ত পাতানো নিয়োগ পরিক্ষা বন্ধের জন্য ১১ নভেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেন।
তারা আরো বলেন, এর পরও প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ না করে এবং ডিজি প্রতিনিধি এমনকি শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতি ছাড়াই তারা দুইজন নিজেদের পূর্বে তৈরি করা প্রশ্নপত্র দিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় লিখিত পরিক্ষা নেন এবং সকল প্রার্থীকে ডেকে নামমাত্র ১/২টি করে মৌখিক প্রশ্ন করে তড়িঘড়ি করে পরীক্ষা শেষ করেন। এসময় প্রার্থীদের সম্মূখে কোন ফলাফল ঘোষণা না দিয়ে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বাড়ীতে বসে তাদের মনমত ফলাফল সীট তৈরি করে ব্যাকডেট দিয়ে ডিজির প্রতিনিধি এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন।
এলাকাবাসীসহ পরীক্ষার্থীরা বিধি বর্হিভুত ভাবে ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে গৃহীত নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের বিরুদ্ধে প্রতিকারসহ ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকল নিয়োগ স্থগিত রাখার জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এবিষয় জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে ধূমঘাট আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় কুমার মন্ডল বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছেন। আপাতত: নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাকে উক্ত নিয়োগ পরীক্ষাটি বন্ধ করার জন্য আমাকে নির্দেশ দিলে আমি প্রধান শিক্ষককে সকাল ৯টা ১০টার দিকে পরীক্ষা বন্ধের জন্য নির্দেশ দেই। তারপর পরীক্ষা নিয়েছে কিনা আমার জানা নাই।
খুলনা গেজেটে/এএ