সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন গোলাখালী গ্রামে বাঘের আতঙ্কে লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না। গ্রামবাসীর দাবি, গত রোববার (১০ জুলাই) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সুন্দরবন থেকে একটি বাঘ গোলাখালী গ্রামে চলে আসে। প্রায় ১৫ মিনিটের মতো হাঁটাহাঁটি করে বাঘটি আবার বনে ফিরে যায়। বাঘটি গ্রামের কাছাকাছি থাকতে পারে এই ভয়ে রাতে তারা ঘর থেকে বাইরে বের হতে সাহস পাচ্ছে না।
শ্যামনগর উপজেলার গোলাখালী গ্রামটি একেবারে সুন্দরবনঘেঁষা। তিন দিকে নদী আর এক দিকে সরাসরি সুন্দরবনের সাথে যুক্ত। শ্যামনগর উপজেলার মূলভূখন্ড থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপগ্রামে ১২০টি পরিবারের বসবাস। তাদের
পেশা সুন্দরবনের নদ-নদীতে মাছ ধরা।
স্থানীয়দের ভাষ্য, গোলাখালী গ্রামের আকলিমা খাতুন সন্ধ্যার দিকে সুন্দরবনের খাল পেরিয়ে একটি বাঘ লোকালয়ে ঢুকতে দেখে। এসময় সে চিৎকার দিলে আরও লোকজন আসে। বাঘটি বনের ধারে খালের পাশে হাঁটাহাঁটি করতে থাকে। গ্রামবাসী বাজির শব্দের পাশাপাশি টিনে শব্দ করতে থাকলে বাঘটি কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করে ফের বনের মধ্যে চলে যায়। বাঘের ভয়ে গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত। রাতে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
বাঘ নিয়ে কাজ করা শ্যামনগরের আবদুল গণি ওরফে টাইগার গণি বলেন, তিনি সোমবার সকালে গোলাখালী গিয়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছেন। বাঘ যে এলাকায় থাকে, সেখানে ঘোরাঘুরি করে। সেকারণে একটি বাঘ যে গোলাখালী গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় এসেছিল এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। তিনি রাতে গোলাখালী গ্রামবাসীদেও সর্তকতার সাথে চলাফেরার জন্য বলেন।
খুলনা গেজেট / আ হ আ