সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালীতে চুনা নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। টানা বৃষ্টি ও নিম্নচাপের কারণে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করে বেড়িবাঁধ ভাঙনের কবলে পড়ায় চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, নিম্নচাপের কারণে চুনা নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় দুই তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবল স্রোতের আঘাতের গত দুই দিনে অন্তত ৬০ ফুট বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এখনই বেড়িবাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে যেকোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে ফসলি জমি, মাছের ঘের, কাঁকড়ার প্রকল্পসহ স্থানীয় মানুেষর ঘরবাড়ি ভেসে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল করিম তুফান বলেন, আমার বাড়ির সামনেই বেড়িবাঁধটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিগত আইলা, আম্পান, ফনি, বুলবুলে এখানে কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় এই স্থানটি ভেঙে প্লাবিত হয়। স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি সংস্কার হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন কাজ করেনি।
তিনি আরো জানান, ১২ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টায় হঠাৎ ২০ ফুটের মত স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এখন সেই ভাঙ্ন প্রায় ৬০ফুট এলাকায় বিস্তার লাভ করেছে। এখনই মেরামতের উদ্যোগ না নিলে বেড়িবাঁধ ভেঙে গোটা এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবিয়ার রহমান জানান, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কেউই এখনো ঘটনাস্থলে আসতে পারেনি।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মেল্লা বলেন, দাতিনাখালীর ওই এলাকাটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। চুনা নদীর ¯্রােত লোকালয়ের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে বেড়িবাঁধের গোড়ার মাটি সরে গিয়ে বেড়িবাঁধ ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে মাত্র কয়েক দিন আগে। আবার নতুন একটি জায়গায় একই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সাজ্জাদুল হক জানান, আমরা ইতিমধ্যে জায়গাটি পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বৈরী পরিবেশের শিথিলতা আসলেই আমরা কাজ শুরু করব।
খুলনা গেজেট/এমএম