সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। ইউনিয়নের ৯নং সোরা গ্রামের বৈদ্যবাড়ি, গাজিবাড়ি ও মালিবাড়ি নামক স্থানে বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বেড়িবাঁধে প্রায় ২০০ ফুট এলাকাযুড়ে এই ভাঙ্গন দেখা দেয়।
কপোতাক্ষ নদের প্রবল জোয়ারের তোড়ে বেড়িবাঁধে দেখা দেয় এই ভয়াবহ ভাঙনের পরও গত ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে নতুন করে ভাঙনের আশংকায় কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী এলাকায় ৯নং সোরা গ্রামে বসবাসকারিদের মধ্যে নতুন করে আতংক দেখা দিয়েছে।
গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং সোরা গ্রামের মিজানুর রহমান ও শামসুর রহমান জানান, সম্প্রতি গাবুরার বেড়িবাঁধ সংস্কারের ৪২০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে। এরই মধ্যে কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী ৯ নং সোরা গ্রামের বৈদ্যবাড়ি, গাজিবাড়ি ও মালিবাড়ি এলাকায় ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দেয়। কিন্তু বেড়িবাঁধ ভাঙন রোধে সেখানে কোন জিওব্যাগ দেয়া হয়নি। এ কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমে বৈদ্যবাড়ি, পরে গাজিবাড়ি ও মালিবাড়িতে বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। তিন স্থানে ভাঙনের পরিমান প্রায় ২০০ ফুট। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়রা বাঁধ না দেওয়ায় ভাঙন বেড়েই চলেছে। এ অবস্থা অব্যহত থাকলে বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ভেঙে গাবুরা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। পানিতে নিমজ্জিত হতে পারে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি ও মাছের ঘের।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, ভাঙ্গনের বিষয়টি সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর সেকশন অফিসার প্রিন্স রেজাকে তাৎক্ষণিকভাবে জানালেও তিনি কোন বয়বস্থা নেননি। ফলে নতুন করে ভাঙন আতংকে রয়েছে এলাকাবাসী।
গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে গাবুরা এলাকায় ৪২০ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৯নং সোরা গ্রামের বৈদ্যবাড়ি, গাজিবাড়ি ও মালিবাড়ি নামক স্থানে বেড়িবাঁধে প্রায় ২০০ ফুট এলাকাযুড়ে ভাঙ্গন দেখা দেয়। বিষয়টি তাৎক্ষনিভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু প্রায় সকলেই দীর্ঘ ঈদের ছুটিতে থাকায় তারা কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। তবে ঈদের পরই তারা ভাঙ্গনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন। স্থানীয় এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে আগামীকাল থেকে ভাঙ্গন পয়েটে কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর সেকশন অফিসার প্রিন্স রেজা জানান, তারা ঈদের ছুটিতে রয়েছেন। অফিসে ফিরে বেড়িবাঁধের ফাটল সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে