শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে তীরে গিয়ে তরী ডুবাল ভারত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮৯ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৭ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারতের ৫৬ রানে ৫ উইকেট পড়ে গেলে চরম বিপদে পড়ে যায়।
এমন কঠিন বিপর্যয় থেকে দলকে খেলায় ফেরান পেস বোলিং অলরাউন্ডার ইরফান পাঠন। এ তারকা অলরাউন্ডারের ব্যাটিং তাণ্ডবে পরাজয়ের শঙ্কা কাটিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল ভারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তীরে গিয়ে তরী ডুবায় শচীন টেন্ডুলকারের নেতৃত্বাধীন দলটি।
জয়ের জন্য ১৮ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল ৫৮ রান। ১৮তম ওভারের প্রথম দুই বলে পরপর ছক্কা হাঁকান ইরফান পাঠন। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৩০ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকান মনপ্রীত গনি, শেষ বলে সিঙ্গেল নেয়ার মধ্য দিয়ে ২০ রান আদায় করে ভারত।
জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল ৩৮ রান। ১৯তম ওভারে একটি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ১৯ রান আদায় করে নেন মনপ্রীত গনি।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ইংল্যান্ডের তারকা পেসার রায়ান সাইডবটমের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইরাফান পাঠান ও মনপ্রীত গনি ১২ রানের বেশি আদায় করতে পারেননি। মাত্র ৬ রানের জয় পায় কেভিন পিটারসেনের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড।
দল হারলেও দর্শকদের মনজয় করে নিয়েছেন ভারতীয় সাবেক তারকা ক্রিকেটার ইরফান পাঠান। তিনি ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে ৩৪ বলে ৪টি চার ও ৫টি দৃষ্টি নন্দন ছক্কায় অপরাজিত ৬১ রান করেন। মাত্র ১৬ বল খেলে ৩৫ রান করেন গনি।
রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে টানা তিন ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশ দলকে হারিয়ে শীর্ষে উঠে যাওয়া ভারতের জয়ের রথ থামাল ইংল্যান্ড।
ভারতকে হারিয়ে টানা দুই জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সাত দলের মধ্যে টেবিলে তৃতীয় পজিশনে ইংলিশরা।
মঙ্গলবার ভারতের রায়পুরে টস হেরে আগে ব্যাট করে কেভিন পিটারসেনের ৩৭ বলের ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ১৮৮ রান করে ইংল্যান্ড।
এই সিরিজের রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমে ১৭ রানে বীরেন্দ্রর শেহবাগ, মোহাম্মদ কাইফ ও শচীন টেন্ডুলকারের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় ভারত। এরপর দলীয় ৩৪ ও ৫৬ রানে ফেরেন সুব্রমণিয়াম বদ্রীনাথ ও যুবরাজ সিং।
৫৬ রানে ৫ উইকেট পতনের পর ভারতীয় দলের হাল ধরেন ইরফান পাঠান ও ইউসুফ পাঠান সহোদর। ষষ্ঠ উইকেটে তারা গড়েন ৪৩ রানের জুটি। দলীয় ৯৯ রানে ফেরেন ইউসুফ পাঠান।