ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে “মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব” শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে মারামারির ঘটনায় জড়িত থাকা আট কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে শাখা ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সংগঠনটির সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে এই বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি হলের আট ছাত্রলীগকর্মীকে বহিষ্কার করেন শাখা ছাত্রলীগ। এর মধ্যে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের পাঁচজন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের দুইজন ও শেখ রাসেল হলের একজন।
বহিষ্কৃতরা হলেন, জিয়া হল ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির খান, আইন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শামীম রেজা, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আকিব মাসুদ অনুভব, আব্দুল কাদের ও আইন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পারভেজ হোসেন বানাত। বঙ্গবন্ধু হল ও হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহদুল্লাহ সিদ্দিকী সাইমুন ও ফিন্যান্স বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাসিন আজাদ এবং রাসেল হল ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশিক কুরাইশী।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সুশৃঙ্খল সংগঠন। শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির মশাল নিয়ে থাকা সংগঠন। এই সংগঠনে থেকে কেউ যদি ব্যক্তি উদ্যোগে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে, সংগঠনকে বিব্রত করার চেষ্টা করে সংগঠন এর দায় কখনোই নেয়নি ও ভবিষ্যতেও নেবে না। আজকের এই বহিষ্কার হলো তার একটা দৃষ্টান্ত। আমরা প্রত্যাশা করব আমাদের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে ও শৃঙ্খলার সাথে থাকবে।’
উল্লেখ্য, গত রোববার “মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব” শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে মিলনায়তনের সামনে কথা-কাটাকাটি শুরু করে রাসেল হল ও জিয়া হল শাখার ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে তাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে বঙ্গবন্ধু হল শাখার ছাত্রলীগ কর্মীরাও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়।
‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ মাহবুবউল আলম হানিফ। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগের ঝিনাইদহ জেলার শাখার সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হাই।
খুলনা গেজেট/এনএম