খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেছে, ’৭১-এর পরাজিত শত্রুরা আবারও বাংলাদেশে ১৫ আগস্ট সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী নৈরাজ্য অগ্নি সন্ত্রাস চালিয়েছে। জামায়াত-শিবির জঙ্গী বাহিনী বিএনপিকে সাথে নিয়ে এই নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। আগস্ট মাস আসলেই বিএনপি জামায়াতের হত্যাযজ্ঞের ষড়যন্ত্র মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা, ২৫ আগস্ট এ্যাড. মঞ্জুরুল ইমামকে হত্যাসহ মমতাজ উদ্দিন, শাহ এ এস এম কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাষ্টার, অধ্যা. গোলাম কৃষ্ণ মুহুরীসহ অসংখ্য সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিক্ষক, আইনজীবীকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে জঙ্গীবাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। এই জঙ্গীবাদের মদদদাতারাই হচ্ছে বিএনপি জামায়াত-শিবির। আগস্ট মাসকে সামনে রেখে শেখ হাসিনাকে হত্যা ও ক্ষমতাচ্যূত করতে আবারও তারা অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এদেশে আর কখনই ১৫ আগস্টের মতো ঘটনা ঘটতে দেয়া হবে না। এদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে সবাইকে সকল ভেদাভেদ ভূলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) দুপুর ১২টায় শোকাবহ আগস্ট মাস উপলক্ষে শোক মিছিল পূর্ব সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন। এসময়ে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বেগ লিয়াকত আলী, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, রফিকুর রহমান রিপন, অধ্যা. রুনু ইকবাল বিথার এমপি, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, আবুল কালাম আজাদ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আলমগীর কবির, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, নুর মোহাম্মদ শেখ, এ্যাড. সরদার আনিছুর রহমান পপলু, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ^াস, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, এস এম আকিল উদ্দিন, শেখ আবিদ উল্লাহ, মো. নুর ইসলাম, শেখ জাহিদুল ইসলাম, চ ম মুজিবর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, শেখ মো. আব্দুল আজিজ, জামিরুল হুদা জহর, চৌধুরী মিনহাজ উজ জামান সজল, এ এস এম মঈনুল ইসলাম নাসির, ফেরদৌস হোসেন লাবু, বাবুল সরদার বাদল, আব্দুল হাই পলাশ, এ্যাড. ফারুক হোসেন, মো. আব্দুর রশীদ, কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মো. ফায়েজুল ইসলাম টিটো, ইউসুফ আলী খান, মুন্সি মোতালেব মিয়া, মীর মো. লিটন, সরদার আব্দুল হালিম, মো. রুহুল আমিন, মুন্সি মো. সেলিম হোসেন, অহিদুল ইসলাম পলাশ, মো. আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. আজম খান, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মো. শিহাব উদ্দিন, নজরুল ইসলাম তালুুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোতালেব মিয়া, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, রনজিত কুমার ঘোষ, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, শেখ নজিবুল ইসলাম নজিব, আইরিন আক্তার নিপা, প্যানেল মেয়র এস এম রফিউদ্দিন আহমেদ, কাউন্সিলর জিয়াউল আহসান টিটু, কাউন্সিলর জাকির হোসেন বিপ্লব, কাউন্সিলর গোলাম মওলা শানু, মো. আরিফ হোসেন মিঠু, কাউন্সিলর রোজী ইসলাম নদী, গোলাম হায়দার বুলবুল, শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, কাজী কামাল হোসেন, কবীর পাঠান, আব্দুল কাদের শেখ, শওকাত হোসেন, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, মো. তাজুল ইসলাম, মল্লিক নওশের আলী, আব্দুল ওহাব, মো. আজিম উদ্দিন, সঞ্জয় কর্মকার, মো. জিলহজ¦ হাওলাদার, তাজদিকুর রহমান জয়, ছাত্রলীগ নেতা ইখতিয়ার উদ্দিন মোল্লা, জব্বার আলী হীরা, জহির আব্বাস, ইবনুল হাসান, মাহমুদুর রহমান রাজেস, জনি বসু, রুম্মান আহমেদসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশ শেষে দলীয় কার্যালয় হতে শোক মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
এর আগে সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয়, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, কালে কালোব্যাজ ধারণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি