ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহত ৩০ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম মেহেদি হাসান স্বপন। তার বাড়ি উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের তালতলা পাড়ায়।
শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, সারুটিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুদ। এই ইউনিয়নে ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পরাজিত বিদ্রোহী প্রার্থী জুলফিকার কাইছার টিপু। নিহত মেহেদি হাসান জুলফিকারের সমর্থক ছিলেন।
নিহতের বোনজামাই লিমন হোসেনের অভিযোগ, বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুদের লোকজন তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুদের লোকজন মেহেদি হাসানকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়ির পাশের রাস্তায় নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়।
‘খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতে ফরিদপুরে পাঠানো হয়। সেখানে নেয়ার পরপরই তার মৃত্যু হয়।’
শনিবার ১১টার দিকে মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘নিহত মেহেদি হাসান শুক্রবার রাতে আমার দলে যোগ দিয়েছে। যারা কুপিয়েছে তারাও আমার লোক। তবে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে তারা মেহেদিকে কুপিয়েছে। এর পেছনে রাজনৈতিক কোনো কারণ নেই।’
শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম শনিবার সকালে বলেন, ‘রাতে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত একজন মারা গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। তবে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।’
খুলনা গেজেট/এনএম