ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনে সহিংস ঘটনা বাড়ছে। বুধবার রাতে দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। প্রথমে রাত ৮টার দিকে দুই কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক প্রার্থীর ভাই আওয়ামী লীগনেতা লিয়াকত হোসেন বল্টু নিহত হন। এর পাঁচ ঘণ্টা পর রাত ১টার দিকে প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. আলমগীর খাঁন বাবুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, বুধবার রাত ৮টার দিকে প্রচারণাকালে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কবিরপুর এলাকায় কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শওকত হোসেন ও আলমগীর খাঁন বাবুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় শওকত আলীর ছোট ভাই লিয়াকত আলী বল্টুসহ ছয়জন আহত হন। আহতদের মধ্যে লিয়াকত আলী বল্টুকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে আনার আগেই লিয়াকত আলী বল্টুর মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান নিহতের স্বজনেরা।
হত্যার ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পর পাশের কুমার নদ থেকে একই ওয়ার্ডের প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আলমগীর হোসেন খান বাবুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে এ প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচন ১৬ জানুয়ারি। আজ রাত ১২টা থেকে প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে। দুই ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য।
খুলনা গেজেট/এনএম