ঝিনাইদহ শৈলকুপায় কুমার নদীর জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগে ভেঙ্গে দেওয়া ‘ফাতেমা মার্কেটটি’ নতুন করে দুইতলা ভবনের নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে পিলার উঠে গেছে, ছাদ ঢালাই এর প্রস্তুতি চলছে।
মার্কেটের মালিক ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলা বিএনপি নেতা খলিলুর রহমান। তিনি পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকা কালে শহর বৃদ্ধির অজুহাতে কুমার নদীর ৭ একর জায়গা ভরাট করে সেখানে তিন শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। যার মধ্যে তার দখলে ফাতেমা মার্কেট সহ আরও বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে।
এলাকাবাসি বলছেন, তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে এই ফাতেমা মার্কেটের অর্ধেকাংশ সহ আরও বেশ কিছু দোকান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভেঙ্গে দেওয়া ঘরগুলো নতুন করে মেরামত করেন মালিকপক্ষ। ভেঙ্গে দেওয়া সেই ফাতেমা মার্কেটটি সম্প্রতি দুইতলা করার কাজ চলছে। এই মার্কেটে একতলাতে বড়-ছোট ১৭ টি দোকান রয়েছে। উপরে ব্যাংক, বীমা বা ক্লিনিক করা হবে বলে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে খলিলুর রহমানের ফাতেমা মার্কেটের উপর তলার কাজ চলছে। দ্রুতগতিতে শ্রমিকরা কাজ করে যাচ্ছেন। মার্কেটের যে অংশটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল সেই অংশ ইতিপূর্বে মেরামত করে নেওয়া হয়েছে। সেখানে আবারও দোকান প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
মার্কেটের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করে জানান, মাত্র ৬ টি দোকান ছিল, বাকিগুলো ভাঙ্গা হয়েছিল। সেগুলো মেরামত করা হয়েছে অনেক পূর্বেই, এখন দুইতলা করার কাজ চলছে।
কয়েকজন গার্মেন্টস মালিক জানান, তারা মোটা টাকা দিয়ে ঘর নিয়েছেন। ১ হাজার থেকে ২৫ শ’ টাকা পর্যন্ত ভাড়া রয়েছে দোকানগুলোতে। এগুলো সবই সাবেক চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান নিচ্ছেন। শহর বৃদ্ধির কথা বলে নদীর জায়গা দখল করে সেখানে তিনি ব্যক্তিগত মার্কেট তৈরী করেছেন বলে তারা শুনেছেন।
শৈলকুপা উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীল জানান, তিনি সরেজমিনে মার্কেট নির্মাণ স্থান দেখতে গিয়েছিলেন। জায়গাটি নদী ও পেরিফেরিভুক্ত বাজারের জায়গা। তারপরও দখলকারী খলিলুর রহমান আদালতের রায় সহ কিছু কাগজপত্র দেখাচ্ছেন। যার বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ ইতিমধ্যে আপিল করেছেন। তিনি আশা করছেন সরকারি জায়গা সরকারের অনুকূলে আসবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই