খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

শেষ হলো তাজিয়া মিছিল

গেজেট ডেস্ক

মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ পবিত্র আশুরা উপলক্ষে পুরান ঢাকার হোসেনী দালান থেকে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিল ধানমন্ডি গিয়ে শেষ হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় করোনার প্রভাবে দুই বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর পুনরায় রাজধানীর হোসেনী দালান থেকে এ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি চকবাজার, লালবাগ, আজিমপুর-নিউমার্কেট হয়ে ধানমন্ডি লেকে গিয়ে শেষ হয়। তাজিয়া মিছিল শুরুর আগে মহড়া দিয়েছে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন।

শিয়া মুসলমানরা তাজিয়া মিছিলে শোকের প্রতীক হিসেবে খালি পায়ে পুরুষরা কালো পাঞ্জাবি-পাজামা এবং নারীরা কালো কাপড় বা বোরকা পরে মিছিল করেছেন। হায় হোসেন, হায় হোসেন মাতম ও বুক চাপড়ে ফোরাত নদীর তীরের কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার স্মরণ করেন তারা।

এছাড়া মাতমকারীদের সেবার জন্য নিয়োজিত ছিল স্বেচ্ছাসেবকরা। তাদের পানি ও শরবত বিতরণ করতে দেখা যায়।

মিছিলের মূল আয়োজন করে হোসেনী দালান ইমামবাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটি। মিছিলে অংশ নেয় বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ভক্তরা। শিয়া মুসলমানদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ এই তাজিয়া মিছিলে অংশ নেয়। মিছিলের সামনে ছিল ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইনের দুটি প্রতীকী ঘোড়া, দ্বিতীয় ঘোড়ার জিন রক্তের লালে রাঙানো। ধানমন্ডি লেকে প্রতীকী কারবালা প্রান্তরে এসে মিছিল শেষ হয়েছে।

মিছিলকে ঘিরে নেওয়া হয়েছিল প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কোনো প্রকার নাশকতা ঠেকাতে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদস্যরা। সঙ্গে রয়েছেন র‌্যাব ও বিভিন্ন স্তরের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

এ বছর সুষ্ঠুভাবে তাজিয়া মিছিল সম্পন্ন করতে দা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি বহন নিষিদ্ধ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই সঙ্গে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে পুলিশ ও র‍্যাব।

হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) কারবালার ফোরাত নদীর তীরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শাহাদত বরণ করেন। এই শোক ও স্মৃতিকে স্মরণ করে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে পবিত্র আশুরা পালন করা হয়। দিনব্যাপী এই কর্মসূচির মধ্যে আছে তাজিয়া মিছিল, বিশেষ মোনাজাত, কোরআনখানি, দোয়া ও মাহফিল। অনেকে দিবসটি উপলক্ষে নফল রোজাও রাখছেন। দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণও করে থাকে অনেক পরিবার।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!