রাত পোহালেই পবিত্র ঈদ উল আযহা। শেষ মুহুর্তে কোরবানির পশু কিনতে হাটে ছুটছে মুসল্লিররা। আর দূর-দূরান্ত থেকে বিক্রেতারাও নিয়ে আসছে বিভিন্ন সাইজের গরু ও ছাগল। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। শেষ মুহুর্তে জমজমাট খুলনা সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত জোড়াগেট কোরবানির পশুর হাট। এই হাটে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ছেট ও মাঝারি সাইজের গরু।
নড়াইলের বগুরা গ্রামের বাহারুল ইসলাম বলেন, ব্লাক স্টার নামের ফ্রিজিয়ান প্রজাতির গরুটির বয়স আড়াই বছর। শান্ত প্রজাতির গরুটির ওজন ১৫ মণ। দাম উঠেছে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ৪ লাখের উপরে হলে ছেড়ে দিব। তবে বড় গরু মানুষ দেখতে আসে, দাম শুনে চলে যায়। বড় সাইজের গরুর চেয়ে ছোট সাইজের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে।
নড়াইলের কালিয়া জয়দেবপুর মো. আমিন বলেন, হাটে বড় গুরু চেয়ে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। ৮০-৯০ হাজার টাকা, ১ লাখ থেকে এক লাখ ২০-৩০ হাজার টাকার গরুর চাহিদা বেশি। এই হাটে নড়াইল, কালিয়ার গরু সবচেয়ে বেশি রয়েছে।
হাটে গরু কিনতে আসা খুলনা শিপইয়ার্ড রোডের দেলোয়ার হোসেন বলেন, এবার গরুর দাম অনেক বেশি। গরু দেখছি, পছন্দ হলে কিনবো। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও তেমন ভালো না। ছোট সাইজের গরুগুলোই মানুষের চাহিদায় রয়েছে। ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যে মানুষ গরু কিনছে।
হাটে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, হাট ঘুরে ঘুরে দেখছি। পছন্দ হলে গরু কিনবো।
কেসিসির বাজার সুপার আব্দুল মাজেদ মোল্লা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী হাট জোড়াগেট পশুর হাট। গত ১০ জুন শুরু হয়েছে হাটটি, চলবে ঈদের দিন সকাল বেলায়। হাটের পরিবেশ খুবই ভালো। নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নেই। প্রচুর পরিমাণে কোরবানির পশু এসেছে এই হাটে। আশপাশের হাটগুলো শেষে গরু গুলো এখানে আনছে।
তিনি জানান, সড়কপথের পাশাপাশি নৌপথেও এখানে পশু আনার সুবিধা রয়েছে। এবারের হাটে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা, জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন, কন্ট্রোল রুম, চিকিৎসা সেবার জন্য মেডিকেল টিমসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএম্/এনএম