নন্দীগ্রামে পিছিয়ে পড়ার যে প্রবণতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সকাল ৮টায় গণনা শুরু হওয়ার সময় থেকে ছিল, সেটা কিছুটা হলেও কমেছে। বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবধান তিন হাজারের কিছু বেশি এখন পর্যন্ত। ষষ্ঠ রাউন্ডের গণনা হয়ে গেছে।
মমতা পিছিয়ে থাকায় একটি প্রশ্ন তীব্র হয়ে উঠছে- যদি শেষ পর্যন্ত মমতা হেরেই যান, তাহলে কী হবে?
ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী মমতা নিজে হেরে গেলেও যদি তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় এবং মমতাকেই নতুন বিধায়করা নেত্রী নির্বাচিত করেন, সেক্ষেত্রে মমতার মুখ্যমন্ত্রী হতে কোনো আইনগত অসুবিধা নেই।
তবে ছয় মাসের মধ্যে তাকে নির্বাচিত হয়ে বিধানসভার সদস্য হতে হবে। যদি ছয় মাসের মধ্যে তিনি বিধানসভার সদস্য না হতে পারেন, সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১১ সালের বিধানসভার ভোটে মমতা নিজে লড়েননি। তখন তিনি কেন্দ্রের মন্ত্রী। তার দল জিতে তাকে নেত্রী নির্বাচিত করে। পরবর্তীতে মমতা লোকসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে তখন জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের সুব্রত বক্সী। তিনি পদত্যাগ করলে সেই আসলে উপনির্বাচনে জিতে মমতা মুখ্যমন্ত্রী থেকে যান।
যদিও এবার শেষ পর্যন্ত মমতা জিতবেন বলেই ধারণা করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও তৃণমূলের নেতারা।
খুলনা গেজেট/এনএম