খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ পৌষ, ১৪৩১ | ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে এক জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৪
  বগুড়ায় ট্রাকচাপায় বাবা-মেয়েসহ নিহত ৩
  আগামী বিজয় দিবসের আগে জুলাই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করা হবে : আসিফ নজরুল

শেষ ওভারের নাটকে বাজিমাত ইংল্যান্ডের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শেষ বলে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হল অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। আর তাতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুই রানে জিতল ইংল্যান্ড। শেষ বলে পাঁচ রান প্রয়োজন ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ব্যাটিং এন্ডে ছিলেন মার্কাস স্টোয়নিস। টম ক্যারেনের দুরন্ত ইয়র্কার জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ডের।

শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। টম কারানের প্রথম বলে রান না পেলেও পরের বল গ্যালারিতে আছড়ে ফেলেন মার্কাস স্টয়নিস। এরপর কারান আর সুযোগ দেননি হাত খোলার। তৃতীয় বলেও রান হয়নি। শেষ তিন বলের প্রতিটিতে এসেছে দুই রান করে। অস্ট্রেলিয়া হেরেছে দুই রানেই।

ম্যাচের শুরুটা ইংলিশদের ছিল দারুণ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দলকে ঝড়ো শুরু এনে দেন জস বাটলার। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই অ্যাশটন অ্যাগারকে মারেন দুই ছক্কা এক চার। ৪ ওভারে স্কোরেবার্ডে জমা হয় ৪৩ রান।

জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন প্যাট কামিন্স। তবে বাটলার ছুটছিলেন। তাকে থামান সেই অ্যাগারই। ২৯ বলে ৪৪ রান করা ব্যাটসম্যান ধরা পড়েন সীমানায়।

বাটলারকে ফেরানোর পর ভালোভাবে ম্যাচে ফেরে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাগারের বলেই দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে বিপজ্জনক টম ব্যান্টনকে ফেরান ফিঞ্চ। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক পরে সফল হন নেতৃত্বের কৌশলেও।

দুই বাঁহাতি দাভিদ মালান ও ওয়েন মর্গ্যানের জন্য গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অফ স্পিন আক্রমণে আনেন ফিঞ্চ। নিজের প্রথম ওভারেই মর্গ্যানকে ফেরান ম্যাক্সওয়েল, পরের ওভারে মইন আলিকে।

এরপর কেন রিচার্ডসনের স্লোয়ারে যখন ফিরলেন টম কারান, ইংল্যান্ডের দেড়শ হওয়া নিয়েই টানাটানি। কিন্তু মালান তখনও ছিলেন, তিনিই এগিয়ে নেন দলকে। ৪৩ বলে ৬৬ করে মালান আউট হন সীমানায় স্টিভেন স্মিথের দারুণ ক্যাচে।

জবাবে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার দু’ওপেনার। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে আসে ৫৫ রান। রান আসতে থাকে ফিল্ডিং ছড়ানোর পরও। ১১ ওভারে ৯৮ রানের জুটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন জফ্রা আর্চার। ৩২ বলে ৪৬ রান করে মিড অফে ক্যাচ দেন ফিঞ্চ।

৯ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ৩৬ বলে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ৩৯ রান। সেখান থেকেই তাদের নাটকীয় পতন। আদিল রশিদকে সুইপ খেলে ক্যাচ দেন স্মিথ। ওই ওভারেই বাজে শটে ফেরেন ম্যাক্সওয়েল।

ওয়ার্নার তখনও উইকেটে, পেরিয়ে গেছেন ফিফটি। কিন্তু উইকেট ছুঁড়ে আসার মিছিলে সামিল তিনিও। আর্চারকে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে এই ওপেনার বোল্ড হন ৪৭ বলে ৫৮ রান করে।

সুযোগ বুঝে ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন উজ্জীবিত ইংলিশ বোলাররা। স্টয়নিসের মতো আগ্রাসী ব্যাটসম্যান টিকে থাকলেও শেষ রক্ষা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। শেষ ওভারের ওই ছক্কা ছাড়া স্টয়নিস পারেননি বড় শট খেলতে। দারুণ জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে ইংলিশরা।

খুলনা গেজেট/এএমআর




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!