খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, উন্নয়ন আর প্রত্যাশার নেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যা স্বপ্ন দেখেন সেটি বাস্তবায়ন করে থাকেন। তিনি বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করবেন বলে যে পরিকল্পনা করেছিলেন আজ সেটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনাকে অর্থনৈতিক জোনে পরিণত করতে মোংলা বন্দরকে আধুনিকায়ন করেছেন, সেটি আজ লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। মোংলায় ইপিজেড স্থাপন করা হয়েছে। রামপালের ফয়লায় স্টল বিমান বন্দর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রূপান্তর করেছেন। খুলনা শিপইয়ার্ডকে লোকসান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। খুলনার মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে ওয়াসা স্থাপন করেছেন। খুলনায় মৌলিক চাহিদার অন্যতম শিক্ষা, সেই শিক্ষাকে সার্বজনীন করতে খুলনায় ৬টি স্কুল এবং ৪ কলেজকে সরকারিকরণ করেছেন। খুলনায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যায় পরিণত করা হয়েছে। খুলনা সদর হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এখন খুলনাতে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সংসদে বিল পাশ করেছেন। তিনি খুলনার মানুষের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ মানে উন্নয়ন, আওয়ামী লীগ মানে স্বাধীনতা, আওয়ামী লীগ মানে গণতন্ত্র, আওয়ামী লীগ মানে দরিদ্র মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, আওয়ামী লীগ মানে সংবিধান ও সার্বভৌমত্বের রক্ষক, আওয়ামী লীগ মানে দেশপ্রেম, আওয়ামী লীগ মানে খেটে খাওয়া মানুষের দল। সুতরাং এই দল এবং দলের নেত্রী বাঙালি জাতিকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে দৃঢ় অঙ্গিকারাবদ্ধ। তিনি খুলনাবাসী ও দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনীতি করে জীবন উৎসর্গ করেছেন, একই ভাবে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তিনি তাঁর জীবনকে এই বাঙালি জাতির জন্য উৎসর্গ করেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতেই পিতার ন্যায় তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন আরো ত্বরান্বিত হবে।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় “শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়” বিল জাতীয় সংসদে পাশ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল পূর্ব রূপসার সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মো. আশরাফুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ কামাল, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, এ্যাড. একে এম শাহজাহান কচি, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, মীর বরকত আলী, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল। সভাপরিচালনা করেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল।
এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী এনায়েত হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, মো. শাহজাদা, মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস আলম আলম চাঁন ফারাজী, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, শেখ ইউনুস আলী, কামরুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, শেখ নুর মোহাম্মদ, এ্যাড. সরদার আনিসুর রহমান পপলু, আজগর আলী মিন্টু, অধ্যা. রুনু ইকবাল, মাহাবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর ফকির সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান হাফিজ, কাউন্সিলর আনিসুর রহমান বিশ্বাষ, মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ, মনিরুজ্জামান সাগর, আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান খান খোকন, এস এম আকিল উদ্দিন, এ্যাড. একেএম শাহজাহান কচি, রনজিত কুমার ঘোষ, মোতালেব মিয়া, সফিকুর রহমান পলাশ, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এবিএম আদেল মুকুল, এম এ নাসিম, জিয়াউল ইসলাম মন্টু, এ্যাড. শেখ ফারুক হোসেন, ফেরদৌস হোসেন লাবু, আব্দুল হাই পলাশ, মঈনুল ইসলাম নাসির, জামিরুল হুদা জহর, শেখ আব্দুল আজিজ, বীরমুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, চ. ম. মুজিবর রহমান, জাহিদুল হক, মো. জাহিদ হোসেন, মো. নুর ইসলাম, শেখ আবিদ উল্লাহ, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মো. ইউসুফ আলী খান, মো. জাকির হোসেন হাওলাদার, মো. মোতালেব মিয়া, মীর মো. লিটন, শেখ রুহুল আমিন, সরদার আব্দুল হালিম, এমরানুল হক বাবু, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, আলহাজ্ব এশারুল হক, মো. শিহাব উদ্দিন, কামরুল ইসলাম, এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, কাজী কামাল হোসেন, মো. শওকাত হোসেন, রোজী ইসলাম নদী, কাজী ইব্রাহিম মার্শাল, ইয়াছির আরাফাত, তাজুল ইসলাম তাজু, মো. সহিদ হাসান, সোহেল বিশ্বাস, জব্বার আলী হীরা, মাহামুদুল ইসলাম সুজন, মাসুদ হাসান সোহান, মাহামুদুর রহমান রাজেস, মো. শাহীন আলম, ওমর কামাল সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষে এক বিশাল আনন্দ মিছিল রূপসা থেকে শুরু করে সাতরাস্তা মোড় হয়ে বঙ্গবন্ধু চত্বর ঘুরে শেরেবাংলা রোড দিয়ে পাওয়ার হাউজ মোড় ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
খুলনা গেজেট/ টি আই