বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, বিএনপি’র দীর্ঘ আন্দোলন এবং ছাত্র জনতার গণঅভ্যূত্থানের ফলে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নিলেও শেখ হাসিনা বিদেশে বসে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে নানান অপপ্রচারে ব্যস্ত আওয়ামী দোসররা। আওয়ামী লীগের দেশীয় দোসররাও এখনো নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। তৃণমুলই বিএনপির মূল শক্তি। ওয়ান-ইলেভেন সরকার এবং শেখ হাসিনা হাজারো চেষ্টা চালিয়েও বিএনপি’র ক্ষতি করতে পারেনি। দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি বর্তমানে অত্যন্ত সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। আগামীতেও এই ঐক্য অটুট থাকবে।
গতকাল বুধবার (০৫ ফেব্র“য়ারি) বিকালে খুলনার তেরখাদা উপজেলার বারাসাত ইউনিয়ন বিএনপি’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সম্প্রীতির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তেরখাদার ২নং বারাসাত ইউনিয়নে সম্প্রীতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিএনপি নেতা মোবাশ্বের আলী এতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপি
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আরও বলেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষিত ৩১ দফায় রাষ্ট্র সংস্কারের মূল ভিত্তি। বিএনপি রাষ্ট্র কাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশে গণতন্ত্র টেকসই হবে। মানুষের কথা বলার অধিকার নিশ্চিত হবে এবং নাগরিকদের জীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে। তিনি আরও বলেন, আমরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কথায় আস্থাশীল হয়ে ধৈর্য্য ধারন করে চলেছি। ১৭টি বছর আমরা আন্দোলন করেছি। বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের দাবি যেটুকু সংস্কার দরকার সেটুকু করেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
প্রধান বক্তার বক্তৃতায় খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক মো. মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেই গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরবে বাংলাদেশ। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রেখে দেশকে নতুনভাবে গড়ার এখনই সঠিক সময়। মনে রাখতে হবে- সকল সম্প্রদায়ের মিলিত শক্তি দেশ গড়ার হাতিয়ার। বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে শেখ হাসিনা ভারতে বসে নানান ফন্দি আটকছে। সে কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত যতো দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিয়ে জাতীয় সংসদ কার্যকর করা। নির্বাচিত সরকারই জুলাই গণহত্যার বিচার নিশ্চিত, দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র নস্যাৎ ও দেশের সমস্যা-সংকট নিরসনে সক্ষম হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা খান জুলফিকার আলী জুলু, এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী, শেখ আব্দুর রশিদ, এনামুল হক সজল, নাজমুস সাকির পিন্টু, চৌধুবী ফখরুল ইসলাম বুলু, শেখ আনিছুর রহমান, সাইফুর রহমান মিন্টু, আতাউর রহমান রুনু, শেখ আলী আজগার, ওয়াহিদুজ্জামান রানা, শেখ এনামুল কবীর, এ্যাড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, হাবীবুর রহমান হাবীব, আরিফুর রহমান, গোলাম মোস্তফা তুহিন, চৌধুরী কাওসার আলী, এ্যাড. সেতারা বেগম, জাবেদ মল্লিক ও শেখ আব্দুস সালাম প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এম মিলন