সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, উপদেষ্টাদের যে বৈঠক হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন এবং পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে আছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভারতকে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোববার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটিই গণমাধ্যমের সঙ্গে তাঁর প্রথম মতবিনিময়।
‘যুক্তরাষ্ট্রের হাতে সেন্ট মার্টিন ও বঙ্গোপসাগর ছেড়ে দেওয়া’—সংক্রান্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘আমি এ রকম কোনো অঙ্গীকার করিনি।’
পররাষ্ট্রসচিব মনে করেন, আন্দোলনকারী ছাত্ররাও এমন কোনো অঙ্গীকার করেননি।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গ এসেছে। আমি যদি বলি এমন কিছুই ঘটেনি, এটা বিশ্বাসযোগ্যতা পাবে না। সহিংসতার কিছু ঘটনা ঘটেছে। হিন্দুদের বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে। পাশে মুসলমানদের বাড়িতেও আক্রমণ হয়েছে। কারণ, সেটা আসলে ধর্মীয় কারণে (হামলা) নয়, রাজনৈতিক কারণে। এ ধরনের আঘাত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা সোমবার সংখ্যালঘু সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসবেন। আমরা তথ্য চেয়েছি, কোথায় কী নৃশংসতা হয়েছে। আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে প্রত্যেকটি অন্যায়–অনাচারের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দল–মত না দেখে বিচারের আওতায় আনা।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে চূড়ান্তভাবে একটি নিরপেক্ষ এবং সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর। এটা নিয়ে সন্দেহের কোনো সুযোগ নেই। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে, স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা। সেটি সাতদিন লাগতে পারে, ১৫ দিন লাগতে পারে, আবার দুই মাসও লাগতে পারে।
নির্বাচন অবশ্যই করতে হবে জানিয়ে পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন করতে হবে অবশ্যই। নির্বাচনের মাধ্যমে এ সরকার সরে যাবে। কিন্তু আমরা এখনই বলতে পারছি না যে, ঠিক কতদিন লাগবে। এটা নিয়ে আপাতত কোনো স্পেকুলেট না করি। আমরা কিছুদিন অপেক্ষা করি। এই পরিস্থিতি আসুক দেশের।
খুলনা গেজেট/এইচ