স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা ভ্রাতৃসূলভ সম্পর্ককে পাকিস্তান গভীরভাবে অনুধাবন করে। তার মতে, এই সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল ইতিহাস, বিশ্বাস এবং অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে। এই সম্পর্কের উদ্দেশ্য টেকসই শান্তি, নিরাপত্তা এবং এই অঞ্চলসহ সমগ্র বিশ্বের উন্নয়ন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে তিনি এসব কথা বলেন।
২৬ শে মার্চ ডেটলাইনে পাঠানো চিঠিটি রাতে ঢাকায় পৌঁছেছে বলে পররাষ্ট্র দপ্তর, ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাই কমিশন। তাছাড়া ঢাকাস্থ পাকিস্তান মিশনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে চিঠিটির কন্টেন্ট শেয়ার করা হয়েছে। প্রকাশিত চিঠি মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে ইমরান খান লিখেন, ‘বাংলাদেশের এই বিশেষ লগ্ন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় দুই দেশের নেতারা জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং পূণর্মিলনের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটি। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ অংশীদারিত্ব দেখিয়েছে পাকিস্তান।’ বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক বা বন্ধনকে আরও বিকশিত করার আগ্রহ ব্যক্ত করে চিঠিতে ইমরান খান আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই বন্ধন রেখে যেতে চাই।
যেহেতু আমরা বিশ্বাস করি আমাদের দুই দেশের জনগণের গন্তব্য অভিন্ন। তাই আসুন আমরা আমাদের জনগণের ভবিষ্যৎ এবং দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য যৌথভাবে কাজ করি। আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে আমি আপনাকে যত দ্রুত সম্ভব পাকিস্তান সফরের আন্তরিক আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমি নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি যে, এর মধ্য দিয়ে (আপনার সফরের মাধ্যমে) আমাদের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সুচনা হবে। আমি এই সুযোগে আপনার দীর্ঘজীবন, সুস্বাস্থ্য এবং সুখী জীবন কামনা করি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণ যে শান্তি, উন্নতি এবং সমৃদ্ধির পথে ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে তার ধারাবাহিকতা কামনা করি।’ চিঠির সূচনাতে ইমরান খান ব্যক্তিগতভাবে এবং দেশটির সরকার ও জনগনের পক্ষ থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে অভিনন্দন জানিয়ে লিখেন- ‘প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে তাঁর জন্মশতবার্ষিকীর ইভেন্ট এটি তাঁর প্রতি আপনার এবং বাংলাদেশের জনগণের গভীর ভালবাসা এবং সম্মানের প্রতিফলন।’
খুলনা গেজেট/কেএম