খুলনায় বসবাসরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫ চাচাতো ভাই, খুলনার সাবেক ৩ এমপিসহ ২১৫ জনের বিরুদ্ধে দিঘলিয়া থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে। গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর রাতে ফুলতলা উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক কাজী আনোয়ার হোসেন বাবু বাদি হয়ে দিঘলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৩।
২০২২ সালের ২২ অক্টোবর ডাকবাংলা চত্বরে বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে ফুলতলা উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা ট্রলারে রওনা দেন। দিঘলিয়া উপজেলার চন্দনীমহল কাটাবন এলাকায় তাদের ওপর হামলা হয়। এর আগে একই ঘটনায় আরও দুটি মামলা হয়েছে।
নতুন মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল, শেখ জুয়েল, তার ভাই শেখ সোহেল, শেখ রুবেল, শেখ বেলাল উদ্দিন বাবু, খুলনার সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন, বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান ও আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুন অর রশিদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডি বাবুল রানা, জেলা সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ সুজিত অধিকারী, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডঃ সাইফুল ইসলাম, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সানাউল্লাহ নান্নু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, সাবেক ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন, সাবেক রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম হাবিব, সাবেক রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা, ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম মুন্না, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরাফাত হোসেন পল্টু, রূপসা কলেজের অধ্যক্ষ আবদুস সালাম ফকির, রূপসার ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল ও জাহাঙ্গীর, ফুলতলা উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মৃণাল হাজরা, খানজাহানআলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আনিছুর রহমান, সংগঠনিক সম্পাদক শেখ কামাল হোসেন, দিঘলিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী রহিম, গাজীরহাট ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মফিজুল ইসলাম ঠান্ডু, তার ভাই যুবলীগ নেতা হামিম মোল্লা, দিঘলিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন শেখসহ খালিশপুর, খানজাহান আলী থানা, দিঘলিয়া, রূপসা, তেরখাদা উপজেলা আওয়ামীলীগ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ২১৫ নেতাকর্মী।
এর আগে একই ঘটনায় দলীয় কর্মী শেখ জিকো নিহত হওয়ার ঘটনায় ফুলতলা থানায় দায়েরকৃত অপর একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন , শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, এস এম কামাল হোসেন, মুন্নুজান সুফিয়ান, আব্দুস সালাম মূর্শেদী, শেখ সোহেল, শেখ রুবেল, শেখ বেলাল উদ্দিন বাবু, শেখ হারুন অর রশিদ, এমডি বাবুল রানা, এ্যাডঃ সুজিত অধিকারী, এ্যাডঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম, সানাউল্লাহ নান্নু, মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, শফিকুর রহমান পলাশ, শেখ আকরাম হোসেন, এস এম হাবিব, আবুল হাসান মুসাল্লীসহ ফুলতলা, দিঘলিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৮৫ নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪০০ জনের নামে ফুলতলা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলা নং ৮ তাং ২৯/৮/২০২৪। মামলার বাদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হক বাপ্পী।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর দিঘলিয়া থানায় এ পর্যন্ত চারটি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ২ শতাধিক নেতাকর্মীর। গ্রেপ্তার এবং মামলার আতঙ্কের ভয়ে দলীয় নেতা কর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানা যায়।
খুলনা গেজেট/লিপু/হিমালয়