সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ভারত- ২৮/২ (৭.৩ ওভার) (জায়সাওয়াল ১৭*, রোহিত ৬, গিল ০, কোহলি ০*)
ভারতের মাটিতে এসে ভারতকে হারানো ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম কঠিনতম কাজগুলোর মধ্যে একটি। ২০১২ সালের পর ঘরের মাঠে টানা ১৭টি সিরিজে অপরাজিত ভারত। এবার তাদের বিপক্ষেই দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অতীত পারফরম্যান্স অবশ্য আশা জাগানিয়া নয়। এখন পর্যন্ত ১৩ টেস্টের ১১টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচ ড্র হলেও সেখানে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি অবদান ছিল বেরসিক বৃষ্টির। ১১ হারের মাঝে টাইগাররা ৫ টেস্ট হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে।
এবার অবশ্য পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয় বাংলাদেশ দলকে বাড়তি অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। তবে বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সের ঘোর থেকে বেরিয়ে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের উজাড় করে দিতে চাইবেন।
এরই মধ্যে চেন্নাইতে সিরিজের প্রথম টেস্টের টস অনুষ্ঠিত হয়েছে। টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টাইগাররা এই ম্যাচে তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে মাঠে নেমেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা সর্বশেষ টেস্টের একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।
শুরুটা দারুণ করেছিলেন বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই সাফল্য পেতে পারত বাংলাদেশ। হাসানের করা গুড লেংথের বলে বিট হয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বল সোজা আঘাত করেছিল রোহিতের প্যাডে। অবশ্য বাংলাদেশের ফিল্ডারদের জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। টাইগাররা রিভিউ নিলে দেখা যায় বল অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে লাইনের মধ্যেই ইম্প্যাক্ট করেছিল। উইকেটে হিটিংও করে বলের অল্প অংশ। তবে আম্পায়ার্স কলের কারণে বেঁচে যান রোহিত।
অবশ্য পরের ওভারেই বোলিংয়ে এসে বাংলাদেশকে উইকেটের স্বাদ দিয়েছেন হাসান। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে রোহিত ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে শান্তর হাতে। ফলে শেষ হয়েছে রোহিতের ৬ রানের ইনিংস। এরপর ভারতের ইনিংস ধরতে ব্যাট করতে নামেন শুভমান গিল। এরপর আবারও বোলিং আক্রমণে এসে শুভমান গিলকেও আউট করেছেন হাসান। লেগ স্টাম্পের কাছ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে এজ হয়ে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়েছেন গিল। এর ফলে রানের খাতাও খুলতে পারলেন না তিনি।
খুলনা গেজেট/এনএম