খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

শুল্ক কমলেও সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু-পেঁয়াজ

গেজেট ডেস্ক

পেঁয়াজ ও আলুতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। তবুও খুচরা বাজারে এখনও আগের সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে এই পণ্য।

দেশে আলু এবং পেঁয়াজের বিদ্যমান বাজারমূল্য ও সরবরাহ বিবেচনায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা ক্রমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আলু আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার পাশাপাশি ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক তুলে দিয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ট্যারিফ কমিশনের প্রস্তাবনা মোতাবেক এনবিআর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এর একদিন পরে আজ (শুক্রবার) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আগের মতো ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি আলুও আগের মতো ৬০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ, আলু কিনে এনে মালিবাগের স্থানীয় মুদির দোকানে বিক্রি করেন খোরশেদ আলম নামের এক বিক্রেতা। আজকের বাজারে এসবের দাম বিষয়ে তিনি বলেন, বেশ কিছু দিন ধরেই খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ১২০ টাকায় এবং আলু ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আজও সেই দামই চলছে। পেঁয়াজ ও আলুতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার তা শুনেছি কিন্তু বাজারে এর প্রভাব পড়তে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। কারণ আমি বেশি দামেই পাইকারি বাজার থেকে কিনে এনেছি। যে পরিমাণ মাল এনেছি এটা আরও ৩/৪ দিন চলবে আমার দোকানে। এটা শেষ হলে ফের মাল আনবো, তখন যদি কম দামে পাই তাহলেই কম দামে বিক্রি করব।

মগবাজার এলাকায় বসবাস করেন সাজ্জাদ হোসেন নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বাজারে এসে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে আলু ও পেঁয়াজও কিনেছেন। বাজারে এই দুই পণ্য বাড়তি দাম বিষয়ে তিনি বলেন, আজ অনেক দিন ধরে ১২০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। সেই আলু কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই দুইটি পণ্যের যদি এতটা দাম হয় তাহলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কঠিন হয়ে যায়। সরকারের উচিত সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে পণ্যের দাম নির্ধারণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এদিকে রামপুরা বাজারের ব্যবসায়ী মাসুদ রানা আলু পেঁয়াজের দাম বিষয়ে বলেন, আজ সকালেই আমি পাইকারি বাজার থেকে আলু পেঁয়াজ কিনে এনেছি। পাল্লা হিসেবে (৫ কেজি) কিনে সব খরচ বাদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়েছে ১১০ টাকা। এখন পরিবহন করে নিয়ে আসার পর খুচরা ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছি। একই ভাবে আলুর পাল্লা পড়েছে ৫৫ টাকা এখন আমার দোকানে খুচরা বিক্রি করছি ৬০ টাকায় প্রতি কেজি। আজকে এগুলোর কেনা দাম আগের মতো ছিল, বাজারে যখন কম দামে কিনতে পারবো তখন খুচরা বাজারেও আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারবো।

গতকাল পেঁয়াজ ও আলুতে শুল্ক কমিয়ে ট্যারিফ কমিশনের প্রস্তাবনা মোতাবেক এনবিআর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ গত ১ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে পেঁয়াজ, আলু, সার ও কীটনাশকের ন্যায় নিত্যপণ্যের শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর কমাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে এনবিআরকে নির্দেশ দেন।

প্রজ্ঞাপনে আলুর আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং এর সঙ্গে প্রযোজ্য ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজের ওপর প্রযোজ্য ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই সুবিধা বহাল থাকবে। আশা করা যায়, এসব নিত্যপণ্যের আমদানি শুল্ক ও রেগুলেটরি ডিউটি প্রত্যাহারের ফলে আলু ও পেঁয়াজের দাম কমে যাবে এবং ভোক্তাদের স্বস্তি দেবে।

খুলনা গেজেট/এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!