প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে খেলতে নেমে মাত্র ১১ দশমিক ৫ ওভার টিকেছে আফগানদের ইনিংস। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানতো বটেই, বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও এটি সবচেয়ে কম রানের নজির।
২০ রানেই পতন হয়েছিল ৪র্থ উইকেটের। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি আফগানদের। পাওয়ারপ্লেতে তারা হারিয়েছে ৫ উইকেট। ৫০ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন আরও ৩ জন ব্যাটার। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার আইসিসির মেজর কোনো আসরের সেমিফাইনাল খেলতে নেমে আফগানিস্তান টের পেল ক্রিকেটের নির্মম এক চিত্র।
ওপেনারদের ফেরালেই যেন আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ পুরোপুরি ব্যর্থ। টুর্নামেন্টের সেরা ৫ রান সংগ্রাহকের মাঝেই আছেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান। মার্কো জানসেন শুরুতেই ফেরালেন গুরবাজকে। এই ওপেনারের উইকেট হারানোর পরেই টের পাওয়া গিয়েছিল বিপর্যয়ের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই রিজা হেন্ডড্রিকসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক গুরবাজ। ৩ বলে আউট হওয়ার সময় রানের খাতাই খোলা হয়নি তার।
জানসেন নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফেরান ওয়ানডাউনে নামা গুলবাদিন নাইবকে। বিপর্যয় সামাল দিতে তাকে ওপরে উঠানো হয়েছিল আজ। কিন্তু সেটা কাজে লাগেনি কোনোভাবেই। বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনিও। পরের ওভারেই সবচেয়ে বড় ধাক্কা খায় আফগানরা। কাগিসো রাবাদার ওই এক ওভারেই ফেরেন মোহাম্মদ নবী আর ইব্রাহিম জাদরান। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাজঘরে ফেরার পর আফগানিস্তানের ফাইনাল খেলার স্বপ্নটাও যেন অনেকটা মিলিয়ে আসে।
সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি আফগানিস্তানের। দলের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে আজমতউল্লাহ ওমরজাই স্পর্শ করেছেন দুই অঙ্কের রানের ফিগার। পাওয়ারপ্লে শেষের ঠিক পরের ওভারে ফেরেন তিনিও। ২৮ রানে ৬ উইকেটের পতন। আফগানিস্তানের মিডল এবং টপ অর্ডারের পুরোটাই তখন সাজঘরে। শেষ ভরসা হিসেবে ছিলেন রশিদ খান এবং করিম জানাত।
স্বীকৃত এই দুই অলরাউন্ডারের দুজনেই খেলেছেন ৮ রানের ইনিংস। তাদের সেই রানের সুবাদেই ৫০ পার করে আফগানরা। ইনিংসটা যখনই কেবল বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল, তখনই একে একে ফেরেন করিম জানাত, নুর আহমেদ এবং রশিদ খান। আফগানরা এরপর গিয়েছে ৫৬ পর্যন্ত। এদিন তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩ রান এসেছে অতিরিক্ত থেকে।