দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৫ জানুয়ারি শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ৮ জানুয়ারি সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।
এ ছাড়া শনিবার মধ্যরাত থেকে রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত চার ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো- ট্যাক্সিক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক। সর্বসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে অন্যান্য যানবাহন চলাচলের সুযোগ রাখা হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
আদেশে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকদের চলাচলে কোনো বাধানিষেধ থাকছে না। জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন, ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন চলাচলে কোনো বাধা নেই। বিমানের টিকিট দেখানো সাপেক্ষে দেশে আসা এবং বিদেশে যাওয়া ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনদের বিমানবন্দর আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত যানবাহন চলাচলে বাধা থাকবে না। দূরপাল্লার যাত্রীদের আনা-নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন চলতে বাধা নেই। তবে টিকিট দেখাতে হবে।
সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক বা জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন ও স্টিকার প্রদর্শন করে চলাচল করতে পারবে। প্রার্থীর জন্য একটি এবং তাদের এজেন্টদের জন্য একটি গাড়ি রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষ স্টিকার দেখিয়ে চলাচল করতে পারবে। এ ছাড়া নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী বা অন্য কোনো ব্যক্তি মোটরসাইকেলের অনুমতি পাবেন।
জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর, আন্তঃজেলা বা মহানগর থেকে বের হওয়া বা ঢোকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও প্রধান প্রধান রাস্তার সংযোগ সড়কে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে। এ ছাড়া স্থানীয় প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবতার নিরিখে জেলা প্রশাসক ডিসি কিছু যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও শিথিল করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ডিসি ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি