দুই দলের অবস্থান বলতে গেলে বিপরীত মেরুতে। দিল্লি ক্যাপিটালস পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব তলানির দিকে। তবে এই ব্যবধানটা ম্যাচের ফলে কোন প্রভাবই রাখতে পারল না।
দুবাইয়ে টেবিল টপার দিল্লিকে বলতে গেলে হেসেখেলে হারিয়েছে পাঞ্জাব। ৫ উইকেট আর এক ওভার হাতে রেখে পাওয়া সহজ জয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের আশাও বাঁচিয়ে রাখলো লোকেশ রাহুলের দল।
লক্ষ্য ১৬৫ রানের। ঝড়ো গতিতে শুরু করলেও ৫৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়েছিল পাঞ্জাব। শুরুতেই লোকেশ রাহুল (১১ বলে ১৫) ফেরার পর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের করা ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে জোড়া ধাক্কা খায় দলটি।
ভীষণ মারমুখী হয়ে উঠেছিলেন গেইল। আগের ওভারেই তুষার দেশপান্ডেকে পিটিয়ে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ২৫ রান তুলেছিলেন ক্যারিবীয় দানব। তাকে ঘূর্ণি ডেলিভারিতে বোল্ড করেন অশ্বিন ১৩ বলে ২৯ রানে থাকার সময়। ওই ওভারেই রানআউটে কাটা পড়েন মায়াঙ্ক আগারওয়াল (৯ বলে ৫)।
তবে সেই বিপদ থেকে দলকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন নিকোলাস পুরান আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৪০ বলে ৬৯ রান যোগ করেন এই যুগল। ১৩তম ওভারে রাবাদার বলে পুরান যখন আউট হয়েছেন, ৪ উইকেটে ১২৫ পাঞ্জাবের। দলের জয়ের ভিত গড়া হয়ে গেছে। ২৮ বলে ৬ চার আর ৩ ছক্কায় ৫৩ রান করেন পুরান। ২৪ বলে ৩২ করেন ম্যাক্সওয়েল।
এরপর দীপক হুদা আর জিমি নিশাম সহজেই তুলির শেষ আঁচড় দিয়েছেন। হুদা ২২ বলে ১৫, নিশাম বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে শিখর ধাওয়ানের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটে ১৬৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় দিল্লি ক্যাপিটালস।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো সূচনা করে দিল্লি। দলীয় ২৫ রানের মাথায় পৃত্থি শ (১১ বলে ৭) সাজঘরে ফিরলেও দ্বিতীয় উইকেটে শ্রেয়াস আয়ারকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়েন ধাওয়ান। ৩১ বলের এই জুটিতে আসে ৪৮ রান।
১২ বলে ১৪ রান করে আয়ার মুরুগান অশ্বিনের শিকার হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর উইকেটে নেমে সুবিধা করতে পারেননি পান্ত। ২০ বল খেলে মাত্র ১৪ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
তবে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ধাওয়ান আরও একবার দাঁড়িয়ে গেছেন। শুধু দাঁড়িয়ে থাকাই নয়, মারমুখী ব্যাটিংয়ে বলতে গেলে একাই এগিয়ে নিয়েছেন দিল্লিকে। ৫৭ বলে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়া ধাওয়ান ইনিংসের একদম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।
৬১ বলে গড়া বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ১০৬ রানের হার না মানা ইনিংসটি ছিল ১২ চার আর ৩ ছক্কায় সাজানো। আর ৬ বলে এক ছক্কায় ১০ রান করে ইনিংসের একদম শেষ বলে মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড হন সিমরন হেটমায়ার।
খুলনা গেজেট/এএমআর