সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় শীতকে উপেক্ষা করে বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এখানকার কৃষকেরা। আমন ঘরে তোলার পর প্রচ- শীত উপেক্ষা করে এ চাষে নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। ইরি-বোরো চাষের গুরুত্বপূর্ণ সময় পৌষ-মাঘ। এ দুই মাস বোরো জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে হয়।
চারা রোপণে এসময়ের শৈত্য প্রবাহ ও কুয়াশা চাষীদের দমাতে পারে না। তাই সারাদেশের মত তালা উপজেলায় কৃষকরাও ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন। এবার বীজতলার কোনো ক্ষতি হয়নি। এখন চলছে ধানের চারা রোপণের মহোৎসব।
তালা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গতবছর ১৯ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছিল। এবছর উপজেলায় বোরো ধান চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ২০ হাজার ৬শত হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তারমধ্যে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে।
উপজেলায় গ্রামগুলোতে দেখা যায় ইরি-বোরো রোপণ করছেন চাষিরা। মাঠে মাঠে পুরোদমে বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর জমিতে তারা বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের ধান রোপণ করছেন। অনেকে শ্রমিকের সাথে নিজেরাও বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত রয়েছেন।
গোনালী গ্রামের রজ্ঞন দাস জানান, তিন বিঘা জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করবো। বীজতলা থেকে চারা এনে জমিতে রোপণ করছেন। এরই মধ্যে প্রায় ১৫-২০ শতাংশ জমিতে চারা রোপণ শেষ হয়েছে।
মফিজুল মোল্লা জানান, ধানের দাম বাজার একটু বেশি থাকায় বোরো রোপণ করছি অধিকাংশ জমিতে। আরো অনেক জমিতে রোপণ করা বাকি আছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাজিরা খাতুন জানান, কৃষকরা বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি গতবারের মতন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে।
খুলনা গেজেট/কেডি