শীতে অনেকেরই শরীরের দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার তীব্রতা বাড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়া হাড়ের মধ্যে প্রবেশ করে অস্থিসন্ধিগুলো শক্ত করে। এর ফলে আর্থ্রাইটিস, ফাইব্রোমায়ালজিয়া এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। শীতের মাসগুলোতে ব্যথা কমাতে কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করুন। যেমন-
উষ্ণ থাকুন : শীতকালে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা কমানোর জন্য উষ্ণ থাকার ব্যাপারে গুরুত্ব দিন। শীত পোশাক, স্কার্ফ, গ্লাভস এবং টুপি শরীরের তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি পেশি এবং অস্থিসন্ধিগুলো শক্ত হতে বাধা দেয়। শরীরের যেসব স্থানে বেশি ব্যথা অনুভব করেন সেসব স্থান উষ্ণ রাখতে গরম কাপড় এবং প্রয়োজনে কম্বল ব্যবহার করুন।
হাইড্রেশন এবং পুষ্টি : ঠান্ডা আবহাওয়ায় সহজেই ডিহাইড্রেশন হতে পারে, যা ব্যথার উপসর্গ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। ভেষজ চা এবং স্যুপের মতো উষ্ণ তরল পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করলে হাইড্রেটেড থাকতে পারবেন। পাশাপাশি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ খাবার-যেমন ফ্যাটি মাছ, বাদাম, রঙিন ফল ও শাকসবজি ব্যথা কমাতে অবদান রাখতে পারে।
হিট প্যাড : ব্যথা কমাতে শরীরের ব্যথাযুক্ত স্থানে হিটিং প্যাড ব্যবহার করুন। শীতে ব্যথা কমাতে নিয়মিত হালকা গরম পানিতে গোসল করুন। এটি শরীরে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে, মাংসপেশির শক্তভাব কমাতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
মৃদু ব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং : দৈনন্দিন রুটিনে মৃদু ব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং অন্তর্ভুক্ত করুন। এই অভ্যাস অস্থিসন্ধি এবং পেশি নমনীয় রাখতে সাহায্য করে। হাঁটা, সাঁতার বা যোগব্যায়ামের মতো কর্মকাণ্ড শরীরে অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। তবে কোন ব্যথার জন্য কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন সে ব্যাপারে থেরাপিস্টের সাহায্য নেয়া ভালো।
পর্যাপ্ত ঘুম : দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা কমানোর জন্য পর্যাপ্ত ঘুম খুবই জরুরি। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যান এবং আরামদায়ক ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন। শরীরের সংবেদনশীল স্থানে চাপ কমাতে সহায়ক বালিশ বা কুশন ব্যবহার করতে পারেন। সূত্র: ইন্ডিয়া টিভি।
খুলনা গেজেট/এনএম