অত্যধিক প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন মাছ-মাংস নিয়মিত খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। যাদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি, তারা শীতকালে বেশ ভোগান্তিতে পড়েন। ব্যথা-বেদনা বেড়ে যায়। বসলে উঠতে পারেন না, উঠলে বসতে পারেন না। বিশেষ করে বয়স্কদের এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। নিয়মিত যারা ওষুধ খান, তারাও সব সময় স্বস্তি পান না।
তবে চিকিৎসকেদের মতে, সুস্থ থাকতে ওষুধ সেবনের পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে। কেননা খাওয়াদাওয়ার ধরনের উপর নির্ভর করে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকবে না বেড়ে যাবে। সুস্থ থাকতে কিছু খাবার ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের বাধ্যাতামূলক ভাবে খাওয়া জরুরি। এতে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইউরিক অ্যাসিড।
ডালিম
রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে ডালিম খাওয়া জরুরি। কেননা এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যা ন্টি-অক্সিড্যালন্ট, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমায়। ডালিম খেলে পায়ে ব্যথা ও যন্ত্রণা থেকেও স্বস্তি পাওয়া যায়।
টমেটো
টমেটো ইউরিক অ্যাসিডের অন্য-তম দাওয়াই। এতে লাইকোপেন ও পটাশিয়াম আছে। আর এই দুই উপাদান ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্যন করে। নিয়মিত টমেটো খেলে অস্থিসন্ধির ব্যযথাও কমে।
লাল ক্যাপসিকাম
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভিটামিন সি ভীষণ উপকারী। আর লাল ক্যাপসিকাম ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। প্রতিদিন ক্যাপসিকাম খেলে ইউরিক অ্যা সিড নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
চেরি
ইউরিক অ্যাসিডের রোগীরা চেরি খাওয়া শুরু করতে পারেন। চেরিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যািন্ট এবং অ্যান্থো-সায়ানিন নামক উপাদান। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি প্রদাহনাশক হিসাবেও কাজ করে চেরি।
খুলনা গেজেট/এনএম