ইশারা আর আর্তনাদেও থামানো গেলো না নাবিককে। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় দৈত্যাকার জাহাজ ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দিল যাত্রীবাহী লঞ্চ। কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠলেও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকেই।
এখন পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া জীবিত উদ্ধার হয়েছেন ১৫ যাত্রী। জাহাজের অবস্থান জানতে এবং নিখোঁজদের সন্ধানে চলছে যৌথ অভিযান। দুপুরে কয়লাঘাট এলাকায় পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল আফসারউদ্দীন।
পণ্যবাহী দৈত্যাকার জাহাজ যেনো গিলে খাচ্ছে মাঝারি আকারের যাত্রীবাহী লঞ্চ এম এল এম আফসার উদ্দীনকে। ফুটেজে স্পষ্টই বোঝা যায় ছোট লঞ্চ থেকে ইশারা কিংবা আওয়াজ দিয়ে বারবার জাহাজের নাবিকের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সেই আর্তনাদ হয়তো পৌঁছায়নি। মুহূর্তেই শীতলক্ষ্যায় তলিয় যায় লঞ্চটি। তাৎক্ষণিক যে যার মতো করে ঝাঁপ দিয়ে চেষ্টা করে প্রাণে বাঁচার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা করে লঞ্চটি। কয়লারঘাট এলাকায় লঞ্চটিকে পেছন থেকে কয়েকটি ধাক্কা দেয় পণ্যবাহী একটি জাহাজ।
এরই মধ্যে উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১৫ জন। নিখোঁজ রয়েছেন ১৫ থেকে ২০ জন। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
খুলনা গেজেট/এএ