মাগুরায় মাহিদ নামে ৭ বছরের একটি শিশুকে নৌকায় বেঁধে জীবন্ত ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে- এমন খবর পেয়ে শনিবার পুলিশ নবগঙ্গা নদীতে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশুটির কোনো কূলকিনারা না হওয়ায় রোববার সকাল থেকে নতুন করে সেখানে তল্লাশি চালানো হবে বলে জানা গেছে।
সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর সকালে মাগুরার সদর উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের মজিরুল মোল্যার শিশুপুত্র মাহিদ নিখোঁজ হয়। ওই দিনই শিশুটির বাবা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু পরদিন মোবাইল ফোনে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে ওই গ্রাম থেকেই অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া রোহান (১৪) নামে এক কিশোর এবং তার বাবা ইমরান আলি আসলামকে আটক করে।
পরে কিশোর রোহান পুলিশের কাছে স্বীকার করে, সে হনুমান দেখতে যাওয়ার কথা বলে মাহিদকে বাড়ির সামনে থেকে নিয়ে যায়। কিন্তু তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির পাশে নবগঙ্গা নদীর ঘাটে। সেখানে আগে থেকে ভিড়িয়ে রাখা একটি তালের ডোঙ্গা নৌকায় বেঁধে জীবন্ত অবস্থায় শিশুটিকে পানিতে ডুবিয়ে দেয়া হয়।
পুলিশের হাতে আটক রোহান নিখোঁজ শিশুটির প্রতিবেশী। কিছুদিন আগে রোহানের বাবাকে শিশু নাহিদের বাবা অপমান করায় তার প্রতিশোধ নিয়ে সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। তবে তাদের মধ্যে পুরনো কোনো শত্রুতা নেই বলে জানিয়েছেন নিখোঁজ নাহিদের চাচা নিরো মোল্যা।
মাগুরা সদর থানার এসআই আলমগীর হোসেন জানান, থানায় মামলা হয়নি। কেবল জিডির প্রেক্ষিতেই তদন্ত চলছে। আটক রোহানের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীতে তল্লাশি চালানোর পরও কোনো কূলকিনারা হয়নি। তবে রোববার সকাল থেকে আবারও তল্লাশি চালানো হবে বলে তিনি জানান। খবর-যুগান্তর।
খুলনা গেজেট / এমএম